ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জিঞ্জিরামের পানি বিপৎসীমার ওপরে, জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৪
জিঞ্জিরামের পানি বিপৎসীমার ওপরে, জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

ঢাকা: অতিভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহ বিভাগে সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি তিন জেলায় উন্নতি হলেও সুখবর নেই জামালপুরে। জিঞ্জিরামের পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ কাটাচ্ছে পানিবন্দী জীবন।

তবে আগামী তিন দিনে পরিস্থিতি উন্নতি আভাস রয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন তথ্য জানিয়েছে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল স্থিতিশীল আছে ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রংপুর বিভাগের ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে তিস্তা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ–মনু ও ধলাই নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, খোয়াই নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে সারিগোয়াইন ও যাদুকাটা নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস ও জিঞ্জিরাম নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, এবং জিঞ্জিরাম নদী জামালপুর জেলার গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে, এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিনে জিঞ্জিরাম নদী অববাহিকাভুক্ত জামালপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া ঢাকা জেলা এবং এর চারপাশের প্রধান নদীসমূহ- বুড়িগঙ্গা, টঙ্গী খাল, তুরাগ ও বালু স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে, অপরদিকে গোমতী ও মুহুরী নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে, অপরদিকে হালদা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই সময়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহের পানির সমতলও স্থিতিশীল আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ঘণ্টা, অক্টোবর ১২,২০২৪
ইইউডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।