ভোলা: ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার পর সাতদিন পেরিয়ে গেলে এখনও পুনর্বাসনের চাল পায়নি ভোলার বেশিরভাগ জেলে। এতে অভাব অনটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে বেকার জেলেদের।
সংকট দূর করতে ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা সময়ের মধ্যেই সরকারি চাল পেতে চান তারা। তবে মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন খুব দ্রুত এ চাল বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ হবে।
জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন সময়ে মা ইলিশ রক্ষায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীসহ সব নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা ২২ দিন বন্ধ। আর তাই, বেকার জেলেদের চলছে দুর্দিন। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন তারা।
জেলে সোহাগ ও কবির বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে আমরা নদীতে যাই না, বেকার সময় কাটাই। পরিবার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। চাল পেলে কিছুটা হলেও সংকট কাটবে।
ভোলা সদরের শিবপুর, ধনিয়া ও ইলিশাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে, কিছু কিছু এলাকায় চাল বিতরণ চললেও অনেকে চাল পায়নি। আবার যাদের কার্ড আছে তারাও চাল পায়নি। দ্রুত চাল বিতরণের দাবি জানার জেলেরা।
এদিকে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে যেতে না পারায় একদিকে সংসারের চিন্তা অন্যদিকে এনজিও আর মহাজনের ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা।
এমন বাস্তবতায় জেলেদের জন্য ২৫ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তা পৌঁছায়নি সাতদিনেও। এতে চরম জীবিকা সংকটে পড়েছেন জেলেরা।
জেলেরা জানান, চাল বিতরণে দেরি হওয়ার ফলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জেলেদের উপার্জন বন্ধ থাকায় তাদের কষ্টের যেন শেষ নেই।
তবে কয়েকটি ইউনিয়নে পুনর্বাসনের চাল বিতরণ শুরু হলেও বিতরণ কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে বেশিরভাগ জেলের হাতে পৌঁছায়নি।
এমন বাস্তবতায় দ্রুত চাল পাওয়ার দাবি জেলেদের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে সব জেলে চাল পাবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
আরএ