ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘বরেন্দ্র অঞ্চলের খাল-বিলের পানি কৃষি ও জীববৈচিত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৪
‘বরেন্দ্র অঞ্চলের খাল-বিলের পানি কৃষি ও জীববৈচিত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে’

রাজশাহী: বরেন্দ্র অঞ্চলের খাল-বিলের পানি কৃষি ও জীববৈচিত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চল অধিক খরা প্রবণ এলাকা।

তাই এ অঞ্চলের পানি কৃষি কাজসহ জীব ও বৈচিত্র্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব নির্মূলের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজশাহীর গাঙপাড়া খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেন।

রাজশাহীর বায়া ব্রিজ চত্বর এলাকায় এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু করা হয়।

এ সময় সেখানে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে জাতীয় যুব দিবসেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

মূলত যুব দিবসটি পালন উপলক্ষেই মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব নির্মূলের অংশ হিসেবে গাঙপাড়া খালে পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছে- বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে গাঙপাড়া খালের মুখে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজে অংশ নেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এরপর 'দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ' এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় যুব দিবস-২০২৪ উপলক্ষে পবা উপজেলা পরিষদে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

আলোচনা সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার  ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নির্মূলের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতার সুফল সম্পর্কে এলাকাবাসীকে সচেতন করতে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। পরিচ্ছন্ন মহানগর হিসেবে খ্যাত রাজশাহী মহানগরীকে ডেঙ্গু ও দূষণমুক্ত রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বায়া ব্রিজ এলাকার গাঙপাড়া খালে সাড়ে ১১ কিমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দুয়ারী খাল ও জিয়া খালের অবৈধ দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করার লক্ষে এ অভিযানের আওতায় আনা হবে। এর ফলে সিটি করপোরেশন এলাকার ৮০ ভাগ খাল দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করা সম্ভব হবে। এ খালগুলোতে নতুন করে যেন ময়লা ফেলা না হয়, এ জন্য সব জনগণকে সচেতন হতে হবে।

এ সময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে প্রবাহিত খালগুলো অপরিচ্ছন্ন থাকায় পানি বারনই নদীতে নামতে পারে না। এর ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমিত পরিসরে জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশ হিসেবে আজ গাঙপাড়া খালের মুখে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখন সবার সহায়তায় ধান-নদী-খাল এ তিনে রাজশাহীর পুরনো সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই।

উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পবার আয়োজনে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক  সরকার অসীম কুমার।

পবা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এমএমএন জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক এটি.লএম গোলাম মাহবুব।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) যোবায়ের হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদ হাসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের বিভাগীয় প্রতিনিধি হাসান শেখ ও উদ্যোক্তা রিপা খাতুন।  

অনুষ্ঠানে যুব ঋণের চেক, ক্রেস্ট, সনদপত্র ও গাছের চারা প্রদান করা হয়।

পরে উপজেলা প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৪
এসএস/জেএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।