ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পরীমনির প্রয়াত ‘প্রথম স্বামী’ কে এই ইসমাইল?

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
পরীমনির প্রয়াত ‘প্রথম স্বামী’ কে এই ইসমাইল? পরীমনি ও তার প্রয়াত স্বামী ইসমাইল,

পিরোজপুর: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইসমাইল।

 

ইসমাইল পরীমণির প্রথম স্বামী ছিলেন। তাদের দাম্পত্য জীবনের কোনো খবর খবরের পাতায় তেমন আসেনি। আর কেনই বা আসবে? তখনো পরীমণি নায়িকা হয়ে ওঠেননি।

সেসময় পরীমনি ছিলেন গ্রামের আর দশজন সাধারণ তরুণীর মতোই। যাকে এখন পরীমণি নামে মানুষ চিনছেন, আদতে তিনি তখন ছিলেন শামসুন্নাহার স্মৃতি!২০১০ সালে শামসুন্নাহার স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কে চাচাতো ভাই ইসমাইল হোসেন জমাদ্দারে বিয়ে হয়। যদিও সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি। দুই বছরের মাথায় ইসমাইলকে তালাক দেন স্মৃতি।

নিহত ইসমাইলের মামাতো ভাই স্কুল শিক্ষক হাসান আল মামুন বলেন, পরীমনির সঙ্গে গত ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল ইসমাইলের বিয়ে হয়। পরীমনির পুরো নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি। বিয়ের পর তার  উচ্ছৃঙ্খল জীবনের জন্য ইসমাইলের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে।  

এদিকে পিরোজপুরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকরি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই হাওলাদার বলেন, পরীমনির বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। তার বাবা মনিরুল ইসলাম পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। তার মায়ের রহস্যময় মৃত্যুর পর তিনি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালী গ্রামে নানা শামসুল হক গাজীর বাড়িতে আশ্রয় নেন।  

সেখানে থেকে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার ভগিরাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। ওই বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান ও পরে একই এলাকার ভগিরাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেন। পরের বছর পাস করে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি হন। পরে খালাতো ভাই ইসমাইল হোসেন জমাদ্দারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেখানে প্রায় তিন বছর সংসার করার পর তাদের বিচ্ছেদ হয়।

এর পর ২০১৬ সালে ইসমাইল ভাণ্ডারিয়ায় পরীমনির নানাবাড়ি শিংখালী গ্রামের মো. শাহ আলম হাওলাদারের মেয়ে আয়শা আক্তারকে বিয়ে করেন। সেই সংসারে মো. মোসা বিন ইসমাইল নামে ৮ বছরের একটি ছেলে ও মারিয়া আক্তার নামে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী একজন ধর্মপরায়ণ গৃহিণী।  

নিহত ইসমাইলের শ্যালক মো. সুমন হাওলাদার বলেন, তার ভগ্নিপতি গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে মোটরসাইকেলে করে বন্ধু মনির শিকদারের ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। শুক্রবার রাতে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহতের চাচা কবির জমাদ্দার বলেন, তাদের বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে। নিহত ইসমাইল তার বাবা জাকির হোসেন জমাদ্দারের একমাত্র ছেলে। তার একমাত্র বোন আমেরিকায় থাকেন। ছেলের মৃত্যুতে বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই শোকাহত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।