নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের ঘটনা নিজ পরিবারকে বলে দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় সুমন মিয়া দাবি করেন, তার স্ত্রী জিদনী আক্তার(২৩) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে সে মারা যায়।
অভিযুক্ত সুমন মিয়া আড়াইহাজারের শ্রীনিবাসদী গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে ও নিহত জিদনী আক্তার ব্রাম্মন্দী ইউনিয়নের বইল্লারকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার মেয়ে। সুমন মিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ও সরকারি সফর আলী কলেজের সাবেক জিএস।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর ধরে তাদের প্রেমঘটিত সম্পর্কের পর বিয়ে হয়। দেড় মাস আগে তাদের একটি সন্তান হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে ছাত্রলীগ নেতা। এসব বিষয় পরিবারকে গতকাল রাতে ভিডিও কলে জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানায় পরিবার।
নিহতের চাচা আহসান হাবিব জানান, বাচ্চা হবার আগে ডাক্তার দেখায় নাই ঠিকমত। খালি যৌতুক দাবি করতো। নানাভাবে যৌতুকের দাবিতে করা নির্যাতন গতকাল পরিবারের সদস্যদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সময় জানায় জিদনী। এরপর তাকে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে সুমন।
এদিকে হাসপাতালে লাশ নিয়ে আসলে দুই পক্ষের লোকজন হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়ায়। এক পর্যায়ে তারা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় তাদের মধ্যে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে নিবৃত করে হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক করেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৪
এমআরপি/এমএম