ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে ইনকিলাব মঞ্চের ৬ দফা

ইউনিভার্সিটি করেস্পন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪
ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে ইনকিলাব মঞ্চের ৬ দফা

ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আজমীর শরীফ দখলের ষড়যন্ত্র এবং সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বাবরি মসজিদ দিবসে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদ র‍্যালি করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে হাইকমিশনার বরাবর ৬ দফা সংবলিত একটি স্মারকলিপি দিয়েছে তারা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানের কূটনৈতিক জোনের ভারতীয় হাইকমিশন এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, যুগ্ম-সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এবং সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম জুমা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ভারতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বর্তমান সরকার বিদেশি কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি নিজেদের নাগরিকদেরও নিরাপত্তা দিতে ভয়াবহভাবে ব্যর্থ হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী মব নির্বিচারে মুসলিম, খৃষ্টান ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর হামলা করছে। তারা ত্রিপুরার আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনেও হামলা করেছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, একইসাথে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিবিদদের প্রখ্যাত চার্চ এবং আজমীর শরীফের মাজার ভেঙে ফেলার ক্রমাগত হুমকি এই অঞ্চলে অসহিষ্ণুতাকে উসকে দিচ্ছে।

এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। এগুলো হলো:

১. ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, ভারত সরকারকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন, কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং তাদের সম্পত্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার জন্য ভারত দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে একটি সচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য বিচার ব্যবস্থার অধীনে সরকারকে দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২.  ভবিষ্যতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যেন কোনো বাংলাদেশি নিহত না হয়, তা ভারত সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের বিচার করতে হবে।

৩. মণিপুরের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য বন্ধ করতে হবে। মণিপুরে ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতা সহায়তা ইউনিটের (এমএসইউ) কাছে ভারত সরকারের সাহায্য চাওয়া উচিত।

৪. দলিত সম্প্রদায়, খ্রিস্টান, মুসলিম, শিখ এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈষম্য ও সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

৫. ধর্মীয় স্থান যেমন- গির্জা, মসজিদ এবং মাজারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, আজমির শরিফ দরগাহ ধ্বংস করার ক্রমবর্ধমান হুমকির অবসান ঘটাতে সরকারকে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে এবং

৬. হিন্দুত্ববাদী জনতার হাতে ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার শিকারদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারকে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।