ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

৪০ দিন পর উৎপাদনে ফিরল এনটিসির চা শ্রমিকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২:১৬ পিএম, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
৪০ দিন পর উৎপাদনে ফিরল এনটিসির চা শ্রমিকরা চা বাগান

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে লাগাতার ছয় সপ্তাহ কর্মহীন থেকে চা বাগানে ফিরেছেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) প্রায় চার হাজার শ্রমিক।

বকেয়া মজুরির মধ্যে দুই সপ্তাহের টাকা পেয়ে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে তারা কাজে যোগ দেন।

ফলে প্রায় ৪০ দিন পর জেলার সরকার মালিকানাধীন ৬টি বাগান উৎপাদনে ফিরল।

জেলার মাধবপুর উপজেলায় তেলিপাড়া ও জগদীশপুর এবং চুনারুঘাট উপজেলায় চন্ডিছড়া, পাড়কুল, নাসিমাবাদ ও সাতছড়ি বাগান এনটিসির মালিকানায়। মঙ্গলবার সবকটি বাগানেই শ্রমিকদের একযোগে কাজ করতে দেখা যায়।

চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বাংলানিউজকে জানান, এ ৬টি বাগানে শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮৫০ জন। বাগান মালিকপক্ষ সোমবার তাদের প্রত্যেককে ২ সপ্তাহের বকেয়া মাথাপিছু ২ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করেছে।
তিনি আরও জানান, ৬ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া পড়ায় কর্মবিরতিতে নেমেছিল শ্রমিকরা। এর মধ্যে দুই সপ্তাহের মজুরি শোধ হয়েছে। আরও চার সপ্তাহ বাকি রয়েছে।

এছাড়া যে ছয় সপ্তাহ তারা কর্মবিরতিতে থেকেছে এই দিনগুলোর মজুরি দেওয়ার ব্যাপারে বিবেচনা করার জন্যও তিনি মালিকপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

চন্ডিছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি রনজিৎ কর্মকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাওয়ায় চা শ্রমিক পরিবারগুলোতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা তাদের বাকি পারিশ্রমিকও পেতে চান।

যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে এনটিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (জিএম) সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, গত প্রায় ৪০ দিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকায় বাগানে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, শ্রমিকরা শুধু চার সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাবেন। যে ছয় সপ্তাহ তারা আন্দোলন করেছেন সে সময়ের মজুরি দেওয়ার সামর্থ্য বাগান কর্তৃপক্ষের নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
আরএ

বাংলাদেশ সময়: ২:১৬ পিএম, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪ /

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।