ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পল্লবীতে ছাত্র-আন্দোলনে হামলা: আ.লীগের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
পল্লবীতে ছাত্র-আন্দোলনে হামলা: আ.লীগের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

ঢাকা: মিরপুরের পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ।  

তারা হলেন - পল্লবী থানার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), পল্লবী থানার ৬ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), পল্লবী থানার ৫ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯),  আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০) ও  আওয়ামী লীগ কর্মী রাজু (৫২)।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আকরামের বাবা ফারুক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট  পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

থানা সূত্র আরও জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শুক্রবার রাতে মিরপুর ১১ এলাকা থেকে আকরাম খান রাব্বী হত্যা মামলায় জড়িত আসামি মো. মামুন ও মো. সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পল্লবী থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গত ৪ আগস্ট পল্লবী থানার মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সাথে আন্দোলনে যোগ দেন মো. আবিদ। আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন  আবিদ। পরবর্তীতে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ঘটনায়  আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা করা হয়।

থানা সূত্র আরও জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শুক্রবার  পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িত সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
এজেডএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।