চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা স্টেশনে স্টপেজের দাবিতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে অবরোধ করেছে উপজেলাবাসী।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওই ট্রেন আটকে অবরোধ ও মানববন্ধন করেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দুই পাশের প্লাটফর্ম ও রেললাইনের ওপরে অবস্থান করেন। অবস্থানকারীরা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবিলম্বে আলমডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার দুটি থানা মেহেরপুরের গাংনী ও কুষ্টিয়ার ইবি থানার সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে স্টপেজ দেওয়ার দাবি তোলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, দেশের ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনটি সাধারণ মানুষের রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। উপজেলাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার জন্য ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজের দাবি দীর্ঘদিন থেকেই তুলে আসছেন। এ দাবি পূরণের লক্ষ্যে শনিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে বিকেল ৩টা থেকে সমবেত হয় স্থানীয়রা। সাড়ে ৩টার দিকে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী রেলপথ আটকে বক্তব্য দেন। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও সামাজিক সংগঠন তাদের নিজেদের ব্যানারে অংশ নেয়। এ সময় আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা। আন্দোলন চলাকালীন ট্রেনটি এক ঘণ্টা আটকে অবরোধের পর পাকশীর ঊর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে লিখিত আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এ আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার, পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সামসুল হক টুকু, সদস্য সচিব হাবিবুল করিম চঞ্চল, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
আরএ