ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশের বাধার মুখে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
পুলিশের বাধার মুখে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান

ঢাকা: জুলাই আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তাসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে ইনকিলাব মঞ্চের মিছিলে বাধা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে প্ল্যাটফর্মটির নেতাকর্মীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু করেন। মিছিলটি মৎস্যভবন হয়ে দুপুর ১টার দিকে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে এলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে।

এ সময় পুলিশ ও এপিবিএন এর সদস্যদের যমুনা অভিমুখে যাওয়ার রাস্তার দুই পাশেই ব্যারিকেড দিতে দেখা যায়। পরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা ডানপাশের রাস্তার একপাশে বসে পড়েন। তবে ওই রাস্তার দুই পাশেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। যেখানে আমাদের শোনার কথা খুনি আওয়ামী লীগের বিচার হচ্ছে, সেখানে আমাদের শুনতে হচ্ছে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়াদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া পাঁচ জনকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এসব হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা শুনেছি, সেনানিবাসে ৬২৬ জন ছিল। তাদের কে পালাতে দিয়েছে? যারা পালাতে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশে ছিলেন, অথচ তাকে ধরা হয়নি। পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা বুঝি না। আমরা ড. ইউনূসকে বুঝি। আপনাকে জবাব দিতে হবে কেন তাদের পালিয়ে যেতে দেওয়া হলো।

তিনি আরো বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তাসহ তিন দাবি জানিয়েছি। পুলিশ আমাদের এখানে অবস্থান করার অনুরোধ করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত উপদেষ্টাদের কেউ এসে আমাদের দাবির কাগজ না নিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ আমরা অবস্থান করবো।

তাদের তিন দাবি হলো-

১. গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগের নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

২. সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের গুপ্ত হত্যা থেকে দেশপ্রেমিক ছাত্র জনতাকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটিতে থাকা সকল সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।

৩. প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল জুলাই যোদ্ধাদের জীবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

এসসি/এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।