ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৬তম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৬তম সভা পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় টাস্কফোর্সের সভাপতি মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন- কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পের সমস্যা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নসহ সার্বিক বিষয়াদি আলোচনা করা হয়। সভায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবত অবস্থানের ফলে বাংলাদেশের জন্য কী নতুন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তৎসংলগ্ন এলাকার সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া, নতুন করে আগত মিয়ানমারের নাগরিকদের ব্যবস্থাপনার দিকটি তুলে ধরা হয়। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে সভাপতি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেন।
সভায় জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ পরিচালিত কর্মসূচী সম্পর্কে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সভাকে অবহিত করেন। সভায় রাখাইনে প্রত্যাবাসন সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা,ডিসেম্বর ২৮,২০২৪
টিআর/এমএম