নড়াইল: নড়াইল সদরে মাইজপাড়া বাসনা মল্লিক (৫২) নামে এক ইউপি নারী সদস্যকে গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সদর থানায় নিহতের ছেলে রিংকু মল্লিক বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- নড়াইল সদরের দৌলতপুর গ্রামের গুলমান মোল্যার ছেলে মো. ফারুক মোল্যা (৫০), একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রজিবুল মোল্যা (৩০), সাত্তার মোল্যার ছেলে চঞ্চল মোল্যা (৩৫) এবং শহিদ মোল্যার ছেলে শফিকুল মোল্যা (৩৩)।
নিহত বাসনা মল্লিক মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এবং পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে টিসিবির মালামাল বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবক রাজিবুলের ফোন পেয়ে পাওনা টাকা আনতে যান বাসনা মল্লিক। মাইজপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার বাড়িতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তিন ঘণ্টা আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ওই ইউপি সদস্যকে।
এজাহারে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগী বাসনা মল্লিক বিষয়টি সবাইকে জানানোর হুমকি দিলে তাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেন অভিযুক্তরা। আত্মসম্মানের ভয়ে বাড়িতে ফিরে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে তাকে যশোরের ধলগ্রাম বাজারে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন বিকেলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এ সময় তিনি ছেলে রিংকু মল্লিকের কাছে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়। পরদিন শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় মরদেহের সৎকার করেন নিহতের স্বজনরা।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্যের ছেলে বাদী হয়ে তার মাকে গণধর্ষণ ও বিষপ্রয়োগে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে আমরা প্রধান অভিযুক্ত ফারুক মোল্যাকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িত বাকি সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
এসআরএস