ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা থেকে অপহৃত মো. সোহেলকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মো. সাইফুর রহমান ওরফে সুমন (৪০)।
রোববার (৫ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে মধ্য বাড্ডার বাজার গলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাড্ডা থানা সূত্রে জানা যায়, তুরাগ থানার রাজাবাড়ী এলাকায় ভুক্তভোগী সোহেল ও গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান ওরফে সুমন বসবাস করেন। একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে মধ্যে তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৯টা ৫ মিনিটে ভুক্তভোগী সোহেল মোটরসাইকেলযোগে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নিজ বাসা থেকে বাড্ডা থানাধীন মধ্য বাড্ডা পোস্ট অফিস গলিতে পৌঁছালে সাইফুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন দুষ্কৃতকারী তার পথ রোধ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোনসহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে রাত আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে সাইফুর রহমান ভুক্তভোগীর বন্ধু মো. জহিরুল ইসলামের কাছে ফোন কল করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং মুক্তিপণের টাকা মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে না দিলে ভুক্তভোগী সোহেলকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মো. খোরশেদ আলম রানা বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলা রুজুর পর বাড্ডা থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর শনিবার (০৪ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে মধ্য বাড্ডার বাজার গলি এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে সাইফুর রহমান ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তার করে ও অপহৃত সোহেলকে উদ্ধার করে। এ সময় গ্রেপ্তার সাইফুলের হেফাজত হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে যে মোবাইল ফোন থেকে ফোন কল করে সাইফুলের মুক্তিপণের টাকা দাবি করেছিল সেই মোবাইলফোনটিও তার হেফাজত থেকে জব্দ করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাইফুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৫
এসসি/আরআইএস
