চাঁদপুর: চাঁদপুরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের অপারেটরের কোনো সনদ নেই। এর মধ্যে একজন ইসিজি মেশিন পরিচালনা করেন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শহরের পৃথকস্থানে তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে জানানো হয়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের গ্রিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে একজন ইসিজি মেশিন অপারেটর, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি। ল্যাবের কাজের কোনো ধরনের সনদ নেই। প্যাথলজি ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ। এক্সরে রুমে লেডশিট ছিল না এবং সার্টিফিকেট নেই। এক্সরে রুমের নিরাপত্তার জন্য লেডশিট নাই। এসব কারণে এই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া নিউ ডেলটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে মেশিন অপারেটরের বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা ও সনদপত্র নেই। যে কারণে এই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং নিউ ল্যাব ওয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে মেশিন অপারেটরের সনদ না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, অভিযানের সময় রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যাপক অনিয়ম এবং অদক্ষ কর্মী দিয়ে যন্ত্রাংশ পরিচালনার চিত্র ধরা পড়ে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক পক্ষ তাদের দায় স্বীকার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেও দেওয়া হয়। যাতে পরবর্তীতে কোনো অনিয়ম বা অসঙ্গতি ধরা পড়লে যেকোনো ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ ইকবাল ও নাজমুল হুদা। এছাড়া তাদের সঙ্গে একদল পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
আরএ