ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বরে বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এতে মিরপুর-১০ থেকে মিরপুর-১৪ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কয়েকশ’ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মিরপুর-১৩ নম্বরে বিআরটিএ’র সামনের রাস্তা অবরোধ করেন। তারা রাস্তায় মামলা-হয়রানি বন্ধে ও ঢাকায় অন্য জেলার সিএনজিচালিত অটোরিকশা প্রবেশ বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১৪ নম্বরে অবস্থান নেন সিএনজিচালকরা। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বললে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন। এরপর মিছিল করে মিরপুর-১৩ নম্বর বিআরটিএর মূল ফটক অবস্থান নেন তারা।
সড়ক অবরোধ ও আন্দোলনের বিষয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মিজানুর রহমান বলেন, যাত্রী ওঠা-নামা করতে রাস্তায় গাড়ি থামালে ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে মামলা দেন, হয়রানি করেন। মালিককে প্রতিদিন জমা দিতে হয় ১ হাজার ৪০০ টাকা, গ্যাস রিফিল করতে হয় ৬০০ টাকা। দুই হাজার টাকা তো এখানেই শেষ। এরপর সারাদিন রাস্তায় থাকি। খাওয়া-দাওয়াসহ একটা খরচ আছে। এতো খরচের পর সারাদিন সিএনজি চালিয়ে বাসায় নেওয়ার আর টাকা থাকে না। পরিবারের সদস্যদের খাওয়াব কি?
তিনি আরও বলেন, এদিকে আইন করা হয়েছে, মিটারে না গিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিলেই ৬ মাসের জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এতো টাকা আমরা দেব কোথা থেকে?
এখন আপনাদের দাবি কি প্রশ্নে এ সিএনজিচালক বলেন, ঢাকা মেট্রো ছাড়া অন্য জেলার সিএনজি অটোরিকশা ঢাকার রাস্তায় চলবে না। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের গাড়ি ঢাকায় চলাচল অবৈধ। মূল সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উঠিয়ে দিতে হবে। এসব বিষয় সমাধানের জন্য আমরা এখানে জড়ো হয়েছি।
এদিকে সিএনজিচালকদের অবরোধের কারণে মিরপুর ১০ থেকে মিরপুর ১৪ নম্বর সড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। এতে অফিসগামী মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
এসএএইচ