ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ না হলে বৃহৎ শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ না হলে বৃহৎ শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়’

খুলনা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ না হলে বৃহৎ শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বড় শিল্পের যন্ত্রাংশ ও পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত ছোট পণ্যগুলো উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মূল্য সংযোজনের সুযোগ রয়েছে।

এর মাধ্যমে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, উপরন্তু তরুণ-যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

ক্রয়কারী বৃহৎ শিল্পের সাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাবকন্ট্রাকটিং সংযোগ বাস্তবায়ন এবং উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিসিকের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম।

রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর দক্ষতা ও প্রযুক্তি বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিসিক চেয়ারম্যান আরও বলেন, শিল্প ও বন্দরনগরী হিসেবে খুলনার উদ্যোক্তারা সাবকন্ট্রাকটিং এ পিছিয়ে থাকতে পারেন না। বিসিক এক্ষেত্রের বিকাশে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বিসিক। দক্ষতার কারণেই একসময় খুলনার হালকা প্রকৌশল শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে এবং বৃহৎ শিল্পখাতে তাদের আবশ্যকতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। কেবল সময়ের সাথে নিজেদের সৃজনশীল ও দক্ষ হয়ে ওঠা প্রয়োজন। সরকারও এক্ষেত্রে আন্তরিক হওয়ায় দেশিয় শিল্পের বিকাশের জন্য এবং স্থানীয় পণ্যের ক্রয়কে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারিভাবে পিপিআর সংশোধন করেছে।

সেমিনারে জানানো হয়,  ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে বৃহৎ শিল্পের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্পের মাঝে পরিপূরক সম্পর্ক তৈরিতে বিসিক কাজ করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় সাতশত ৩৫ কোটি টাকা সমমূল্যের পণ্যের কার্যাদেশ পেয়েছে। বিসিকে তালিকাভুক্ত সাবকন্ট্রাকটিং প্রতিষ্ঠান ১৪৬৫টি ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩২৫২টি। এ পর্যন্ত ৩৮২০ ধরনের যন্ত্রাংশ চিহ্নিত করে সাবকন্ট্রাকটিং তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবকন্ট্রাকটিং এর ফলে বৃহৎ শিল্পের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ কম সময়ে ও প্রতিযোগিতামূলক দরে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। দেশের আমদানি নির্ভরতা কমেছে এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন ও স্থানীয় প্রযুক্তির বিকাশ হচ্ছে।

বিসিক খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিকের পরিচালক (প্রশাসন) কাজী মাহবুবুর রশিদ, পরিচালক (দক্ষতা ও প্রযুক্তি)  মোঃ সহিদুজ্জামান, আঞ্চলিক পরিচালক (খুলনা) মানছুরুল করিম ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। বিসিকের জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক গোলাম সাকলাইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রযুক্তি) প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন। সেমিনারে প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অংশ নেন।

বিকালে একই স্থানে খুলনা জোনের লবণ মিল মালিকদের সাথে বিসিকের অর্ধবার্ষিকী পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা,  ফেব্রুয়ারি ১৬,  ২০২৫
এমআরএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।