ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী ও সৃজনশীল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো প্রজন্মের স্বপ্নের চেয়ে দুঃসাহসী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে এবার পদক দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণ প্রজন্ম যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবীর সৃষ্টি করতে চায়। নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে তারা নেতৃত্ব দিতে চায়। সে নেতৃত্ব দিতে তারা প্রস্তুত। ছেলেরাও প্রস্তুত, মেয়েরাও প্রস্তুত।
তিনি বলেন, তরুণরা ঘুণে ধরা, আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়, যে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সব সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
সেই সভ্যতার মূল লক্ষ্যের মধ্যে আরও রয়েছে, প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের সব সুযোগ নিশ্চিত করা, মানুষের জীবনযাত্রা এমনভাবে গড়ে তোলা, যেন পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনরকমে বিঘ্নিত না-হয় এবং পৃথিবীতে বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা কোনোক্রমেই বিঘ্নিত না-হয়, বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ বছর পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় নিয়াজ জামান, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)।
এ ছাড়া সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর), সংস্কৃতি ও শিক্ষায় শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে পদক দেওয়া হয়েছে।
পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরি ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি করে পদক, চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
এমইউএম/আরএইচ