লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারের একটি মাংস দোকান থেকে ১৮ কেজি মাংস কেনেন মন্তাজুর রহমান নামে এক ক্রেতা। কিন্তু সাথে সাথেই তিনি মেপে দেখেন ১৮ কেজির স্থলে ১৫ কেজি।
সোমবার (৩ মার্চ) কসাই বাহার ও দোকানের কর্মচারী হারুনকে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে আটক করা হয়। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে শনিবার (১ মার্চ) ওই বাজারের মাংস ব্যবসায়ী বাহার কসাইয়ের দোকানে ক্রেতা মন্তাজুর রহমানকে হেনস্থা করা হয়।
ভুক্তভোগী মন্তাজুর রহমান কমলনগরের চর মার্টিন ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকার বাসিন্দা।
মন্তাজুর রহমান জানান, পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য গত শনিবার স্থানীয় তোরাবগঞ্জ বাজারের মাংস কিনতে যান তিনি। বিক্রেতা বাহারের সাথে প্রতিকেজি মাংস হাড় ছাড়া ৭৮০ টাকা দরদাম হয়। চাহিদা অনুযায়ী ১৮ কেজি মাংস নেন তিনি। কিন্তু তাৎক্ষণিক ওই মাংস ওজন করে দেখেন ১৫ কেজি।
মন্তাজ বলেন, বাহার ও তার দোকানের কর্মচারী আমাকে ১৮ কেজি মাংস ওজন করে বুঝিয়ে দেয়। মাংস ওজনের সময় আমি দেখতে পাই, আমাদের যে পাল্লায় মাংস ওজন করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ২ কেজি ও ১ কেজি ওজনের দুটি বাটখারাসহ মোট ১৮ কেজি মেপে দেওয়া হয়েছিল। যাতে মোট মাংস ছিল ১৫ কেজি। ৩ কেজিই কম দিয়েছে বিক্রেতা। বিষয়টি টের পেয়ে আমি মোবাইলফোনে ভিডিও করতে গেলে বাহারের দোকানের কর্মচারীরা আমাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে।
তিনি বলেন, পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে আমি বিষয়টি ৯৯৯- এ অবহিত করি। পরে কমলনগর থানা পুলিশ ওই দোকান থেকে কসাই বাহার ও কর্মচারী হারুনকে আটক করে। এ বিষয়ে আমি তাদের দুইজনসহ চারজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
কমলনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে তোরাবগঞ্জ বাজারে গিয়ে কসাই বাহার ও তার কর্মচারী হারুনকে আটক করি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৫
এএটি