নরসিংদী: নরসিংদীতে ২৩ বছর বয়সী গর্ভবতী এক তরুণীকে তিন দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইকবাল এবং ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম নামে অপর একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে মাধবদী থানা পুলিশ ইকবালকে এবং রাত আটটার দিকে সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ।
আটককৃত ইকবাল নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের আসমান্দীচর এলাকার বাসিন্দ ও সাইফুল ইসলাম (৫০) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই অন্তঃসত্ত্বা তরুণী শনিবার মাধবদী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করে যে, গত ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে পাঁচদোনার একটি ভবনে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নরসিংদীর পাঁচদোনায় এলাকায় অভিযান চালানে হয়ে। পরে ভুক্তভোগী ভবনটি চিহ্নিত করলে অভিযান চালিয়ে ইকবাল নামে একজনকে আটক করা হয়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইকবাল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা ও আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান।
অন্যদিকে নরসিংদীর গাবতলীতে ৬ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানির চেষ্টার অভিযোগে মো. সাইফুল ইসলাম (৫০) নামে মাদরাসার নিরাপত্তা প্রহরীকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে শহরতলীর গাবতলি এলাকার একটি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ৬ বছর বয়সী ওই কন্যা শিশুকে শনিবার সন্ধ্যায় যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন নিরাপত্তা প্রহরী মো. সাইফুল ইসলাম। এসময় শিশুটি মাদরাসার শিক্ষক সামসুল ইসলামকে এ ঘটনা জানালে স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরীকে ধরে গণপিটুনি শুরু করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে নিরাপত্তা প্রহরীকে উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসেন।
নরসিংদী সদর থানার এস আই সাইদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুর অভিভাবক থানায় এসেছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৫
এমএম