ঢাকা, সোমবার, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯ রমজান ১৪৪৬

শিক্ষা

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ববিতে মশাল মিছিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৫
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ববিতে মশাল মিছিল

বরিশাল: ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় তারা মশাল মিছিল করেন।

মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষকরাও অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে মিছিলটি ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে আবার গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে শেষ হয়।

শিক্ষার্থীরা হাতে মশাল নিয়ে ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’; ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’; ‘হ্যাং দ্য রেপিস্ট’; উই ওয়ান্ট জাস্টিস’; ‘ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু’- ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা এ সময় বলেন, প্রতিবাদ করা না পর্যন্ত ধর্ষকদের কেন বিচার শুরু হয় না? অন্তর্বর্তী সরকার দলীয় সরকার না হওয়ার পরও ধর্ষকদের শাস্তির ব্যবস্থা কেন করতে পারছে না, তা আমরা জানতে চাই।

মশাল মিছিলে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের  শিক্ষার্থী উপমা দত্ত বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইনগতভাবে থাকলেও বাস্তবে এর কার্যকর প্রয়োগ খুবই কম। নারীদের জন্য অতিরিক্ত আইন থাকার ধারণাটি মিথ্যা, কারণ নারীরা এখনও ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন এবং ধর্ষকদের যথাযথ শাস্তি হচ্ছে না।  

তিনি বলেন, ২০২০ সালে পাঁচ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন ও যৌনাঙ্গ কেটে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের আসামি জামিন পেয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে এবং প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্যুঞ্জয় রায় তার বক্তব্যে বলেন, আজ নতুন বাংলাদেশে আমাদের এমন একটি জায়গায় দাঁড়াতে হচ্ছে, এটা আসলে লজ্জাজনক। তবুও এ লজ্জা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী  কোনোভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

উপাচার্য শুচিতা শরমিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মশাল মিছিলে যোগ দেন। তিনি বলেন, এখানে নারী ও পুরুষ উভয় শিক্ষার্থীরাই উপস্থিত  রয়েছে। ধর্ষণ একটি অপরাধ যা পুরুষদের দ্বারা সংঘটিত হয়, তাই পুরুষদের একটি বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। আমরা এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই, যেখানে নারীরা যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের শিকার হবে না।  

তিনি বলেন, ২০০৯ সালের হাইকোর্ট নির্দেশনা এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন কার্যকর করতে হবে। আমি মনে করি, ২০০৯ সালের হাইকোর্টের নির্দেশনা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৫
এমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।