ঢাকা, বুধবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে জমজমাট ঈদবাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৫
ফেনীতে জমজমাট ঈদবাজার শেষ সময়ে এসে ফেনীতে বেশ রমরমা ঈদবাজার।

ফেনী: শেষ সময়ে এসে ফেনীতে বেশ রমরমা ঈদবাজার। নানা রঙের আলোয় সেজেছে শহরের বিপণিবিতানগুলো।

গ্রাম থেকে শহর ঈদ বিকিকিনির ব্যস্ততার রেশ লেগেছে সবখানে। দেখা গেছে শহরের বিপণি বিতানগুলোতে সব ধরনের মানুষের সরব উপস্থিতি।

শহরের পোশাক ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে রমজানের শুরুতেই হরেক রকম ডিজাইনের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য পোশাক কালেকশন করেছেন। বিভিন্ন প্রকারের পাঞ্জাবি-পাজামা টুপিও রয়েছে কালেকশনে।  

ফেনী শহরের শহীদ মার্কেট, হক টাওয়ার, গার্ডেন সিটি, হজিরিয়া টাওয়ার, এফ রহমান এসি মার্কেট, নিউ মার্কেটসহ সবগুলো মার্কেটে ক্রেতা সাধারণ পরিবারের সব থেকে ছোট সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরছেন পছন্দের পোশাকটি কিনতে।

বিপণিবিতান ছাড়াও শহরের এসএসকে সড়কের নামি-দামি ব্র্যান্ড শপগুলোতেও রয়েছে ব্যস্ততা।  

ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত দুই ঈদবাজারের তুলনায় এবারে হয়তো ভালো ব্যবসা হবে। যে পণ্যগুলো আনা হয়েছে তা ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে।

শহরের শহীদ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী নাজিম হোসেন বলেন, এ বছর রোজার শুরুতেই ব্যবসা জমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন প্রকারের ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষরা কেনাকাটা করছেন।  

শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে এসব মার্কেটে বেচাকেনা চলছে পুরোদমে। কেনাকাটায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নেই পিছিয়ে। তাছাড়া নিত্য নতুন ডিজাইনের মালামাল চলে আসায় তাতে কাস্টমারদের চাহিদা বাড়ছে।

নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী কবির আহম্মদ বলেন, বেচাকেনার শীর্ষে রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, শার্ট-প্যান্ট; মেয়েদের শাড়ি, চুড়ি থ্রি-পিস; বাচ্চাদের পোশাক ইত্যাদি।

রমজানের শুরুর দিকে কম হলেও শেষ দিকে বিকিকিনি বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রায় সব দোকানে বেচাকেনা ভালো।  

এ বিষয়ে আজগর আলী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, অন্যান্য বছর থেকে এ বছর বেচাকেনা ভালো। তবে নিম্নবিত্তদের বেশিরভাগের ভরসা ফুটপাত। কেননা ফুটপাতে যে পণ্যটি তিন থেকে চারশো টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, অভিজাত মার্কেটে এর দাম অনেক বেশি।  

এদিকে শহরের রাজাঝির দিঘী, পাড় শহীদ মিনার ও ট্রাংক রোড এলাকার নিম্নবিত্তদের দোকান ও অস্থায়ী কিছু দোকানে ভালো বেচাকেনা হতে দেখা যায়।  

এর পাশাপাশি শহরের মোবাইল ফোনের দোকানগুলোয়ও বেচাকেনা তুলনামূলক ভালো হচ্ছে। এই সুযোগে বিক্রেতারা বেশ কিছু মোবাইলে ছাড়ের অফার দিয়েছেন।

অন্যদিকে শহরে জুতার দোকানগুলোয় বেচাকেনা বাড়ছে। দোকানিরা বলছেন, সর্বনিম্ন ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ সব ধরনের প্রোডাক্টগুলো কিনতে পারে।

সবমিলে ফেনীর ঈদবাজার চাঁদ রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।

এবারের ঈদে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কেনাকাটার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক শহরে যতগুলো বিপণিবিতান রয়েছে সব জায়গাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। কোনো প্রকার ছিনতাই-রাহাজানি না হয় সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সজাগ রয়েছি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সব বাজারে জোরদার করা হয়েছে।  

শহর ব্যবসায়ী সমিতির সমন্বয়ক মুশকুর রহমান পিপুল বলেন, ব্যবসায়ীরা এবার নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো। তবুও কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। তারাও সাড়া দিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৫
এসএইচডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।