খুলনা: শেষ সময়ে জমে উঠেছে খুলনার ঈদের বাজার। দোকানগুলোতে বাহারি পোশাক-জুতা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। চাকরিজীবীরা বোনাসের টাকা হাতে পেয়েছেন। তাই দোকানগুলোতে ক্রেতাও বেড়েছে। সব মিলিয়ে নগরীতে জমজমাট বেচাকেনা।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে খুলনার বড়বাজারের নুর বস্ত্র বিতানের আকরামুল ইসলাম বলেন, ঈদের বেচাকেনা জমে উঠেছে। এবার ক্রেতাদের কাছে পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা বেশি।
সাউথ সেন্ট্রাল রোডের বস্ত্র কাননের স্বত্বাধিকারী জাবের হোসেন বলেন, এবারের ঈদে পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা বেশি। সাদা বাহার, আলিয়া কাট, ফারসি কাট, সারারা, গারারা এসব পোশাক বেশি চলছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। পোশাকের দাম গতবারের মতোই রয়েছে। বেশি একটা বাড়েনি।
জলিল সুপার মার্কেটের খুলনা ব্যাগ বাজারের স্বত্বাধিকারী মো. অহিদ উল্লাহ হাওলাদার বলেন, ঈদের পোশাকের পাশাপাশি অনেকেই নতুন হ্যান্ড ব্যাগ, পার্টি ব্যাগসহ নানা ধরনের ব্যাগ কিনছেন। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
খুলনা শপিং কমপ্লেক্স থেকে কেনাকাটা শেষ করা শাহ নেওয়াজ নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের বাজারে পোশাকের দামে এবার ব্যবসায়ীরা ডাকাতি করতে পারছেন না। ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে পোশাকের দাম।
বিএল কলেজ শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন বলেন, এ বছর বাজারের অবস্থা মোটামুটি ভালো। পোশাক-আশাকের দামও কিছুটা হাতের নাগালে। খুলনার শিববাড়ি থেকে নিজের ও পরিবারের জন্য বেশকিছু পোশাক কেনাকাটা করেছি।
খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা গেছে, নিউ মার্কেট ও খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের চেয়ে বড়বাজার, মশিউর রহমান মার্কেট, আড়ং, খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, ইশা চেম্বার, আক্তার চেম্বার, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, খান টাওয়ার, সেফ অ্যান্ড সেভ, মালেক চেম্বার শিববাড়ি মোড়ের মতো প্রধান শপিং সেন্টারগুলোতে ঈদ বাজারের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। বিত্তবান ক্রেতারা বড় শপিং সেন্টারগুলোতে ভিড় করছেন এবং মধ্যবিত্ত ক্রেতারা বড়বাজার ও নিক্সন মার্কেট থেকে তাদের প্রয়োজনীয় পোশাক কিনছেন। ফুটপাতে বসা অস্থায়ী বাজারগুলো থেকে কেনাকাটা করছেন নিম্নবিত্ত ক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৫
এমআরএম/আরবি