বরিশাল: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘পদ্মা’ ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছেন দর্শনার্থীরা।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বরিশাল নগরের মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ন কীর্তনখোলা বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে নোঙর করা এ জাহাজটি ঘুরে দেখেন দর্শনার্থীরা।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘুরে দেখে জাহাজটি। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। তারা জাহাজটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে। আর এভাবে জাহাজ ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়ে অনেকে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকেই তাদের পরিবার ও শিশু-সন্তানদের নিয়েও জাহাজ দেখতে আসেন।
আগত দর্শনার্থীরা জানান, সাধারণত যুদ্ধ জাহাজ সাধারণ মানুষের জন্য দেখার সুযোগ থাকে না। তাইতো সুযোগ পেয়ে শিশু, নারী, পুরুষসহ সব শ্রেণির মানুষ উপস্থিত হন যুদ্ধ জাহাজ দেখার জন্য।
সেই সঙ্গে অবিভাবকরা জানান, শিশুদের দেশের নৌবাহিনী সম্পর্কে জানাতে, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে তারা এখানে নিয়ে এসেছেন।
অপরদিকে জাহাজের কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দেশের নাগরিকদের নৌ বাহিনী সম্পর্কে জানাতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাহাজ পদ্মা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পদ্মা শ্রেণির প্রথম ব্যাচের প্যাট্রোল ক্রাফট। এটি গণচীনের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। জাহাজটি উপকূলীয় অঞ্চলে টহল দেওয়া, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ২০১০ সালের ২ মে খুলনা শিপইয়ার্ডে এটি নির্মিত হয়। ২০১২ সালে ৮ অক্টোবর জাহাজটিকে প্রথমবারের মতো পানিতে ভাসানো হয়। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি বানৌজা পদ্মা বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে।
বিএনএস পদ্মা ৫০ দশমিক ৪ মিটার লম্বা ও ৭ দশমিক ৫ মিটার চওড়া। পানির নিচে এর গভীরতা থাকবে ৪ দশমিক ১ মিটার। যুদ্ধ জাহাজটিতে বিমান বিধ্বংসী কামান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৫
এমএস/এএটি