ঢাকা: ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে অধ্যাদেশ জারি হচ্ছে। এ জন্য আরও তিনটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও স্টার্টআপ কম্যুনিটির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫- এর স্টার্ট-আপ কানেক্ট সেশন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধের কারণে দেশের ক্রেডিট রেটিং অবনমন হয়েছে। সে সময় বৈদেশিক বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে, প্রবাসী আয় কমেছে এবং ব্যাংকিং ব্যাহত হয়েছে। সে শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে আগামী সরকার কোনোভাবেই ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সরকার যাতে ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে যে জন্য গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপগুলো হলো, মন্ত্রণালয় থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করার একটি ব্যবস্থা ছিল, সেটা আমরা বন্ধ করছি। স্টারলিংক রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি গাইডলাইন করেছি সেখানেও ইন্টারনেট বন্ধ করতে সরকারের কর্তৃত্ব রাখা হয়নি। টেলিযোগাযোগ আইনের যে ধারায় ইন্টারনেট সরকার বন্ধ করতে পারে, সে আইন সংশোধন করে আমরা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে সরকার ইচ্ছা করলেও আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকার, স্টার্টআপ ও বিদেশি স্টার্টআপ কম্যুনিটির অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। সারা দেশের স্টার্টআপ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। এর আগে শুধু ঢাকার স্টার্টআপরা অংশ গ্রহণ করেছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তারা নতুন উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে ভালো একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ২৫টি দেশের ৭০ জন বিনিয়োগকারী ও স্টার্টআপ অংশ গ্রহণ করেছে। এ সম্মেলনে সরকার নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা ছাড়াও সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পেরেছে।
এতদিন শুধু উদ্যোক্তা বা সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলা হয়েছে। এবার আমরা যেটা করেছি, স্টার্টআপ কম্যুনিটির কাছে থেকে কথা শুনেছি, বলেও উল্লেখ করেন বিডার নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, এ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে এমন কোনো পলিসি গ্রহণ করবে না, যা স্টার্টআপকে বিঘ্নিত করে। পাশাপাশি অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাধাও দূর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জাইকার তহবিল স্টার্টআপে বিনিয়োগ করার জন্য কথা হচ্ছিলো। অর্থ মন্ত্রণালয় ও ইআরডি যৌথভাবে জাইকার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছিল। এটা চূড়ান্ত হয়েছে। জাইকা যে বাজেট সহায়তা দিয়েছে তার একটি অংশ স্টার্টআপে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৫
জেডএ/আরআইএস