ঢাকা: বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারে সরকার তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে দুইটি গভীর অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর বছরে প্রায় ৯,১২৫ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
রোববার (২০ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পেট্রোবাংলার অধীনস্থ বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৫৮.৬০ কোটি টাকা দেবে সরকার এবং বাকি ২৩৯.৪০ কোটি টাকা বিজিএফসিএল-এর নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় দুটি কূপ খনন করা হবে—তিতাস-৩১ এবং বাখরাবাদ-১১। তিতাস কূপটি প্রায় ৫,৬০০ মিটার এবং বাখরাবাদ কূপটি ৪,৩৬০ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হবে। কারিগরি কমিটি ও বিদেশি পরামর্শকদের সুপারিশ অনুযায়ী, প্রতিদিন আনুমানিক ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে তিতাস থেকে ১৫ মিলিয়ন এবং বাখরাবাদ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট।
এদিকে আজকের একনেক বৈঠকে বেশ কিছু নতুন ও সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, কৃষি পুনরুদ্ধার, চট্টগ্রামে নগর স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা, বন্দর উন্নয়ন, পানি সরবরাহ উন্নয়ন, রেলপথ ও নদী পরিবহন অবকাঠামো, ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উন্নয়ন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
এসএমএকে/এমএম