দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বাদাম ভাজা, মুড়িমাখাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করেন মিলন মিয়া। তার ছেলে তাহজুল ইসলাম (১৭) এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী দিচ্ছে।
প্রতিদিনের মতো রোববার (২০ এপ্রিল) ভোর থেকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবার বিক্রি করছিলেন মিলন মিয়া। বিক্রির এক পর্যায়ে সকালে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে একটি অটোরিকশাকে ঘিরে ভিড় লক্ষ্য করেন মিলন মিয়া। সেখানে কী হয়েছে জানার ইচ্ছা থেকে ভিড় ঠেলে গিয়ে উঁকি মেরে দেখতে পান অটোরিকশায় রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ। ভালো করে খেয়াল করে দেখতে পান মরদেহটি অন্য কারও নয়, তারই সন্তান তাহজুলের, মুহূর্তেই যেন পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেল তার।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বিরামপুর পৌরসভা শহরের দোয়েল মোড় এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বন্ধু ফুয়াদের মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল তাহাজুল। পথে ঘটনাস্থলে মাছবাহী একটি পিকআপভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তাহজুল বিরামপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চকপাড়া গ্রামের মিলন ইসলামের ছেলে। সে এবার বিরামপুর আমানুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় তাহজুল নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
এসআরএস