ঢাকা: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে ‘বিদেশি উপদেষ্টা’ আখ্যা দিয়ে সম্প্রতি তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। এমন দাবির প্রেক্ষিতে ড. খলিলুর রহমান চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে খুলনার সার্কিট হাউস ময়দানে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান একজন বিদেশি নাগরিক। সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী নিরাপত্তাসংক্রান্ত রিপোর্ট প্রদান করবে—কীভাবে ভাবলেন?
বিএনপির নেতার সেই অভিযোগের জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘এই অভিযোগ প্রমাণের দায়ভার অভিযোগকারীর ওপর বর্তায় এবং প্রয়োজনে তা আদালতে প্রমাণ করতে হবে। আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমার পূর্ণাঙ্গ অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। ’
উল্লেখ্য, মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে নেতিবাচক মন্তব্য করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। এমন সব সিদ্ধান্ত দেওয়ার ইখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে কিনা প্রশ্ন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। আর এই দুই ইস্যুতে বার বার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতির ডিগ্রিধারী খলিলুর ১৯৮০-৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ও আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন। ১৯৯১ সালে জেনিভায় জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনে (আঙ্কটাড) বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে জাতিসংঘ সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী ২৫ বছরে জেনিভা ও নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। খলিলুর রহমানকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
তথ্যসূত্র: বাসস
এসএএইচ