ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশলীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃতিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া দেশের জাতীয় সমস্যা ও বিশেষ ইস্যু নিয়েও বুয়েট নানা ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করছে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বুয়েটের মাঠে ‘বুয়েট অ্যালামনাই-২০১৬ এর গ্র্যান্ড রিইউনিয়নের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো বিশালাকারের কেক কাটা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা সিমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) খন্দকার কিংশুক হোসাইন। এরপর বসুন্ধরা সিমেন্টের স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ইকবাল মাহমুদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, বুয়েটের মাঠ, ভবন, পরিবেশ, কার্যক্রম, কাজের মান সবই আগের মতো আছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হয়তো অনেক কিছুই বদলেছে, কিন্তু বেসিক পরিবর্তন হয় নাই। বুয়েট সেই আগের মতোই প্রাণবন্ত আছে।
এ সময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অ্যালামনাইয়ের চিত্র তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি বুয়েটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই বুয়েটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে প্রকৌশলীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়ে ওঠে বুয়েট মাঠ। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাজির হয়েছেন এ মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, বুয়েটের গুণগত মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আরও সামনের দিকে এগোতে হবে। গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে বুয়েটকে এখনো দেখা যায় না। আমরা যেন গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে পৌঁছাতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আমাদের নতুন নতুন উদ্ভাবনীর দিকে নজর দেওয়া উচিত। প্রকৃতির প্রতি যত্নবান হতে হবে। টেকসই ও সবুজ উন্নয়নের কথা এখনই ভাবা দরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক ও বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. দেলেয়ার হোসেন।
আরও বক্তব্য দেন- বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সেক্রেটারি প্রকৌশলী ড. সাদিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন কমিটির কনভেনর প্রকৌশলী মুনিরুদ্দিন আহমেদ।
বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও সবচেয়ে বয়স্ক প্রকৌশলী ইমাম উদ্দিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করা শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সবশেষে অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী এ গ্র্যান্ড রিইউনিয়নের উদ্বোধন করেন। এরপর শুরু হয় ক্রীড়া অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী বুয়েট অ্যালামনাইয়ের গ্র্যান্ড রিইউনিয়নে স্মৃতিচারণ, র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানের প্রিমিয়াম স্পন্সর- বসুন্ধরা সিমেন্ট, আরএসআরএম ও বাংলা ক্যাট। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিমেন্টের একটি স্টল রয়েছে, যেখান থেকে এ সিমেন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা যাচ্ছে।
** ‘আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৫
একে/আরএম