রোববার (০৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে চারঘাটের হলিদাগাছি রেলক্রসিংয়ের অদূরে লাইনের উপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লিটন চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ আরও জানান, নিহত লিটন রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাটাখালি শাহাপুর এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লিটনের মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে অনুমতি সাপেক্ষে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে যান।
এর আগে শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূ নাজরিন আক্তার সুমিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি আগেই মারা গেছেন। এ সময় জরুরি বিভাগে তার মরদেহ রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সুমি রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান এলাকার আসাদ আলীর মেয়ে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর আবদুল মজিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী লিটন পলাতক ছিলেন। সুমির পরিবারের দাবি নির্যাতনের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় শনিবার রাতেই লিটনকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করা হয়।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, ওই মামলায় তার বাবা আবদুল মজিদ ছাড়াও মা এবং ছোট ভাইকে আসামি করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সকালে সুমির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসএস/জেডএস