সরেজমিন ডিএনসিসি মার্কেটে দেখা যায়, কাঁচামালের মার্কেট থেকে এখনো ধোয়া রেব হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসি’র দোতলা মার্কেটের কেচি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ডিএনসিসি মার্কেটে দোকানের পুড়ে যাওয়া মালামাল সরিয়ে পরিস্কার করছিলেন আমিনুল ইসলাম। মার্কেটে মিতা প্লাজা নামে বাচ্চাদের খেলনার একটি দোকান ছিল তার। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আগুনে সব কাইড়া নিছে আপা। কয়লা আর ছাই ছাড়া কিছুই নাই। আগুনে পথের ফকির বানাইয়া দিছে। ২৫ বছরের ব্যবসা ধ্বংস হইয়া গেছে।
তিনি বলেন, কি আর করা, কপালে থাকলে কিছু করার নাই। গোডাউনে কিছু মালামাল কেনা ছিল তাই দিয়ে আবারো নতুন কইরা দোকান সাজানোর চেষ্টা করছি। আগুনে তার প্রায় ৮০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ওই ব্যবসায়ী আরো বলেন, পুড়ে যাওয়া দোকানের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু আবারো ব্যবসা শুরু করতে পারছি মনে করে ভালো লাগছে। মাটি থাকলে ফসল হয়। মালামাল পুড়ছে কিন্তু দোকান আছে। আর এই দোকান দিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে চান তিনি।
মার্কেটের একটি দোকানে সিরিস কাগজ দিয়ে ঘষা ও রংয়ের কাজ করছিলেন লাল মিয়া ও শামিম। তারা বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছেন। একটি দোকানে কাজ করতে তিন দিনেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
ডিএনসিসি’র দোতলা মার্কেটটি থেকে কাঁচাবাজারে মার্কেটে ধোয়া নিবারণে পানি দিচ্ছিলেন গাজীপুর ফায়ার ব্রিগেডের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রফিকউজ্জামান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচাবাজারের ওই মার্কেটে অনেক দোকানে দাহ্য পদার্থ থাকায় এখনো ধোয়া বের হচ্ছে। আমরা তা দূর করতে কাজ করছি।
ডিএনসিসি মার্কেটের সহ-সভাপতি এস এম তালাল রেজবী বাংলানিউজকে বলেন, ডিএনসিসি’র এ মার্কেটের দোকান সংখ্যা ২৩৪টি। এর মধ্যে শুক্রবার প্রায় ৩৫টির মতো চালু করা হয়েছে।
এছাড়া শনিবার থেকে প্রায় ৫০টি দোকানে ধোয়া, মোছা ও পুড়ে যাওয়া মালামাল সরানোর কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে দোকানগুলো চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরএটি/জেডএস