এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালালে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এসময় ৩টি বুল্ডোজারের গ্লাস ভাঙচুর করে বিক্ষুক্ষরা।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বুল্ডোজার চালক ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পূর্বাচল উপ শহরের ৮ নং সেক্টরের সুলপিনা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নিহত কামরুল ইসলাম সুলপিনা এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে পূর্বাচল উপ শহরের ৮ নং সেক্টরের সুলপিনা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
বিকেলে উচ্ছেদ অভিযানকালে কোন প্রকার সতর্ক না করেই চালক ইসমাইল হোসেন বুল্ডোজার চালিয়ে দেন একটি কাঁচা মাটির ঘরে। এসময় ঘরের একটি দেয়াল ধসে কামরুল ইসলামের ওপরে পড়ে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, কামরুল ইসলামের ওপর দেয়াল ধসে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী উপস্থিত রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয়। এসময় এলাকাবাসীর হামলায় রাজউকের সহ-প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, ইলেক্ট্রিশিয়ান মনির হোসেন, কামাল হোসেন, বুল্ডোজার চালক ইসমাইল হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
এছাড়া বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী ৩টি বুল্ডোজারের গ্লাস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীর দাবি, কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই রাজউক কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। স্থানীয় লোকজন তাদের ঘরের আসবাবপত্র সরানোরও সুযোগ পায়নি। কামরুল ইসলাম দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এসময় বুল্ডোজার চালালে একটি দেয়াল ধসে মাটিচাপা পড়ে গুরুতর আহত হন কামরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দেয়াল চাপায় মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জসিম উদ্দিন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরএ