সোমবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে প্রিয়া খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে।
নিহত প্রিয়া বাঘারপাড়া উপজেলার চেচুয়াখোলা গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে এবং যশোর সরকারি মহিলা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে (অনার্স) প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রয়ারি বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও পুলিশের এএসআই রাকিব হাসানের সঙ্গে প্রিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর মানসিক নির্যাতন করতেন। মাস ছয় আগে প্রিয়ার পরিবারের লোকজন বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য রাকিবদের বাড়িতে যান। সেদিন রাকিবের বাড়ির লোকজন তাদের অপমান করে প্রিয়াকে তাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দেন। সেই থেকেই প্রিয়া বাবার বাড়ি অবস্থান করছিলেন।
নিহত প্রিয়ার মামা পুলিশ কনস্টেবল বিপ্লব হোসেনের অভিযোগ, রোববার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাকিব ফোন করে প্রিয়াকে জানায়, তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে, তালাকনামা আজকালের মধ্যে তার হাতে পৌঁছাবে। এ খবর পেয়ে প্রিয়া ভেঙে পড়েন। এর পর পরই বাড়ির সবার অগোচরে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে প্রিয়া আত্মহত্যা করেন। পরে সোমবার (০৯ জানুয়ারি) তালাকের কপি হাতে পান প্রিয়ার পরিবারের সদস্যরা।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি তারিখে ঢাকার বিজয়নগর কাজী অফিস থেকে পাঠানো তালাকনামায় বলা হয়েছে ‘মনের অমিল, বনিবনা না হওয়া এবং অবাধ্যতার কারণে তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে।
প্রিয়ার স্বামী এএসআই রাকিব হাসান বর্তমানে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন টেলিকমে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাঘারপাড়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) তরুণ কুমার বাংলানিউজকে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে অভিভাবকদের মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে প্রিয়ার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মেয়েটি পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে এ বিষয়ে একটি তদন্ত হয়। যা মেয়েটির অনুকূলে যায়নি। তারপর থেকেই প্রিয়া বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে ৩০৬ ধারায় মামলা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
ইউজি/আরএ