প্রতি বছরের ন্যায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি এ বছরও থাকছে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইজতেমার ময়দান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় দু’টি সেক্টরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারির সুবিধার জন্য ইজতেমা ময়দান ঘিরে থাকবে র্যাবের নয়টি অবজারভেশন পোস্ট ও অসংখ্য মোবাইল টহল দল। রাত্রিকালীন অবজারভেশন পোস্টগুলোতে নাইট ভিশন বাইনোকুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ছদ্মবেশে ও পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ গাড়ি এবং মোটরসাইকেল দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নৌপথে বিশৃংখলা ও সস্ত্রাসী রোধে থাকছে তুরাগ নদে দু’টি স্পিডবোট। নৌ টহলের পাশাপাশি র্যাবের একটি চৌকস দল হেলিকপ্টার যোগে ইজতেমার ময়দান ঘিরে আকাশ পথে পর্যায়ক্রমে টহল দেবে। এছাড়া সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে পুরো ইজতেমা এলাকা।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি মুসল্লিদের প্রতি বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে যারা আসছে তাদের পাসপোর্ট ও ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তাদের প্রতি রয়েছে বিশেষ নজরদারি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জন্য র্যাবের বোম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াড ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করবে। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
এছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ২৭টি খিত্তায় অবৈধ প্রবেশ পথ বন্ধ ও সকল প্রবেশ পথে গোয়েন্দা নজরদারি ও ইউনিফর্ম টহল এবং সন্দেহভাজন স্থান ও ব্যক্তিদের ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় বিছানাপত্র তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানান র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
আরএস/জিপি/আরআই