ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তুরাগ পাড় কেটে মাটি বিক্রি, হুমকিতে বসতবাড়ি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
তুরাগ পাড় কেটে মাটি বিক্রি, হুমকিতে বসতবাড়ি তুরাগের পাড় কেটে ট্রলারে করে নেওয়া হচ্ছে মাটি- ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মজলিশপুর এলাকায় তুরাগ নদের পাড় থেকে মাটি বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়ছে বেশ কিছু বসতবাড়ি। 

শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গেলে এ দৃশ্য দেখা যায়।  

এলাকাবাসীরা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মজলিশপুর (খেয়া ঘাটের দক্ষিণ পাশে)  এলাকায় সমেজ উদ্দিন (সমে) মাস্টারের বাড়ির পাশে তুরাগ নদের পাড় থেকে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।

এতে ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছেন ওই এলাকার আব্দুল মজিদ, সিরাজ মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, সমেজ উদ্দিন, মোস্তফা মিয়া ও নাশির উদ্দিনের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি।  

সরকারি কোনো অনুমতি ছাড়াই ওই এলাকার জাফর আলীর ছেলে মাটি ব্যবসায়ী হাকিম আলী ওরফে হাকি তুরাগ নদের পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে অবাদে। বর্ষাকালে এবং বৃষ্টি আসলেই ভেঙ্গে পড়বে আশপাশের কয়েকটি বাড়ি।  

এঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ। নদের পাড় থেকে  এভাবে মাটি কেটে নিলে তুরাগ নদের গতি পথ প্রবাহিত হবে অন্য দিকে। যা জলাশয় রক্ষা আইনে অপরাধ।  

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মজিদ ও সমেজ উদ্দিন জানান, তুরাগ নদের পাড় থেকে অবাধে মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন মাটি ব্যবসায়ী হাকিম আলী ওরফে হাকি। তুরাগ নদের পাড় কেটে নেওয়ায় আমাদের ঘর-বাড়ি হুমকির মুখে পড়ছে। এভাবে তুরাগ নদের পাড় থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা এলাকাবাসী। কাউন্সিলর বর্তমানে বিদেশ থাকায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।  

মাটি ব্যবসায়ী হাকিম আলী ওরফে হাকি বলেন, আমার জমির মাটি আমি বিক্রি করছি অনুমতি নেবো কার কাছ থেকে। এতে কারো ক্ষতি হলে আমার কি করার।  

বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন-  নদ-নদীর পাড় এটা নদ-নদীর জায়গা। জলাশয় রক্ষা আইন অনুযায়ী নদ-নদী ভরাট, দখল জলাধার আইন অমান্য করা। যারা এ ধরনের জলাশয় রক্ষা আইন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক এটাই দাবি।  

এ ব্যাপারে গাজীপুর সদর উপজেলা (ভূমি) সহকারী কমিশনার তানভীর আল নাসীফ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭     
আরএস/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।