রাজধানী শেরেবাংলা নগরের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে দেখা গেলো, বাণিজ্য মেলার প্রধান গেট তৈরি করা হচ্ছে পদ্মাসেতুর স্প্যানের আদলে। গেটের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
মূল ফটক পেরিয়ে সামনেই দেখা গেলো, ডিজিটাল স্ক্রিনের কাজ চলছে। এই স্ক্রিন থেকেই এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাবে পুরো মেলা। ডিজিটাল স্ক্রিনের কাজের দায়িত্বে আছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আরএমসি ইন্টেরিয়র অ্যান্ড এক্সটেরিয়র। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুরজ তালুকদার বলেন, আশা করছি মেলা শুরুর আগেই কাজ শেষ করতে পারবো। দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
অনেকে দেরি করে মেলা প্রাঙ্গণে স্থান বরাদ্দ পেয়েছে। তাই কাজের অগ্রগতি কম। কাপড় বিক্রির জন্য মাত্র দু’দিন আগে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে মণিপুরী তাঁতঘর। শেষ সময়ে এসে বরাদ্দ পাওয়ায় খুঁটির সঙ্গে সবে টিনের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ।
প্যাভিলিয়নের মালিক গৌর বাবু সিংহ বাংলানিউজকে বলেন, মাত্র দু’দিন আগে স্থান বরাদ্দ পেয়েছি। কাজ দেরিতে শুরু করেছি বলেই প্যাভিলিয়নের এই অবস্থা। তবে অনেক শ্রমিক কাজ করছে। আমরা রাতদিন কাজ করে সময়মতো প্যাভিলিয়ন সাজানোর চেষ্টা করবো।
পুরো মেলা প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ইটের স্তুপ। ভেতরের সড়কগুলোতে ধুলা উড়ছে। কোথাও কোথাও এখনও ইট বিছানো হয়নি। মেলায় অপরাধীদের সাময়িকভাবে আটকে রাখার জন্য দু’টি কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। তবে এখনও কক্ষ দুটির কাজ শেষ হয়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে সবাই প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজে ব্যস্ত। এখনও একটি স্টলেরও শতভাগ কাজ শেষ হয়নি। মেলার মাঝখানে ছোট ছোট স্টল তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আব্দুল মান্নান, আয়নাল হক ও শহিদুল।
কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মান্নান বলেন, স্টলে সিলিংয়ের কাজ চলছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজ চলে, আবার নাইটেও চলে।
মেলার আগে স্টলের কাজ সম্পূর্ণ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশা করছি মেলার আগে ১৬ আনা কাজের ভেতর ১৪ আনা শেষ হবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় থাকছে ৩১টি খাবারের স্টল, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ২০টি স্টল, তিনটি রেস্টুরেন্ট এবং মা ও শিশুদের জন্য তিনটি স্টল। এগুলোর কাজও শেষ হয়নি।
মেলা পরিচালনার জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিডি) অস্থায়ী অফিসের কাজও চলছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র হিসেবে স্টলটি ব্যবহার করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রপ্তানি-৫) এ কে এম আলী আহাদ খান বাংলানিউজকে বলেন, মেলার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, মেলা শুরুর আগেই কাজ শেষ হবে। দুই-একটা কাজ বাকি থাকলেও ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে কাজ শেষ করবে।
সাড়ে ১২ লাখ স্কয়ার ফুট এলাকা জুড়ে বসবে বাণিজ্য মেলার ২৩তম আসর। মেলায় থাকবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, ১৬টি সাধারণ প্যাভিলিয়ন ও ৬৫টি প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়ন। আরও থাকছে ২৩টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন, ছয়টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, সাতটি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, ৭২টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৩টি বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল ও ২৫৩টি সাধারণ স্টলের সমাহার। যার কোনোটারই কাজ এখনও শেষ হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এমআইএস/আরআর