ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরের নন ডিজিটাল ডিসি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
লক্ষ্মীপুরের নন ডিজিটাল ডিসি! জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল ও আমন্ত্রণপত্র

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষে বিশ্ব ছুটছে দুরন্ত গতিতে। সে গতিতে গা ভাসিয়ে ছুটছে বাংলাদেশও। শিখরে পৌঁছাতে বিকল্প নেই গতির। সেটা বুঝেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অনুধাবন করেছেন পাশের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মোটো এখন তাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ মানেই ডিজিটাল মিডিয়া। সময়ের ঘটনা, সময়ের প্রাপ্তি, সময়ের অর্জন মুহূর্তে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দেশের দ্রুত বর্ধমান ডিজিটাল মিডিয়াগুলো।

অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, লক্ষ্মীপুরের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল পড়ে আছেন এখনও এনালগ যুগে। ১১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে ইস্যু করা একটি চিঠি অন্তত সে আভাসই দিচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইকবাল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভার অংশ নিতে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে সোমবার (১৫ জানুয়ারি)। সেখানে ডিজিটাল মিডিয়া বা অনলাইন মিডিয়াকে উপেক্ষা করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুধু প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে।

স্ক্রিনশটবাংলানিউজসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি অনলাইন নিউপোর্টাল প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরসহ দৈনন্দিন কার্যসূচিতে তালিকাভুক্ত। প্রধানমন্ত্রী ও দেশের যেকোনো সংবাদ সবার আগে প্রকাশ করে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ও ডিজিটাল মিডিয়াগুলোকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। এটা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে তাৎক্ষণিক খবর পেতে হলে খুলতে হবে ডিজিটাল মিডিয়া, প্রিন্ট পত্রিকার পাতায় বাসি খবর পড়ার সময়-সুয়োগ ক্রমে কমে আসছে।

এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইকবাল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমিও এখানে নতুন এসেছি। নেজারতে হয়তো অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা তালিকাভুক্ত নেই। সেজন্য এমন হতে পারে।

বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক হুমায়রা বেগমও ডিজিটাল মিডিয়াবান্ধব ছিলেন না।  

সবশেষ এ চিঠিটি সাংবাদিক মহলের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বিষয়টি নিয়ে সরব। অনেকে স্ক্রিনশট পাঠিয়ে, অনেকে চিঠির কপি পাঠিয়ে বাংলানিউজকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। ডিজিটাল মিডিয়ার গতির সঙ্গে যে বাংলাদেশ অভ্যস্ত হচ্ছে সেটা এর প্রমাণ।

স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পুরো দেশ যখন প্রযুক্তিবান্ধব হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন তখন একজন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এমন ডিজিটাল মিডিয়া বিমুখতা কাম্য নয়। এটা দেশকে সামনে নয়, টানবে পিছনে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।