ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাউকে জোর করে ফেরত নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
কাউকে জোর করে ফেরত নয় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফিং করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গাকেই জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মা’য় রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কূটনীতিকদের ব্রিফিং করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাউকে জোর করে পাঠানো হবে না।

রাখাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে।  

২৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রক্রিয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ওই দিনই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু হবে কি-না তা এখনই বলবো না। তবে সেদিন দুই দেশের সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরতদের ফেরত পাঠানো শুরু হবে।  

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন তৈরিতে ভারত, জাপান ও চীন কাজ করছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের পাঁচ দেশ ভারত, কম্বোডিয়া, লাওস, চীন ও বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ছাড়া ওই চার দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখানো হয়েছিল। তাদের আবার সেখানে পরিদর্শনে নেওয়া হলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা ফেরত আসবে। তারপরই এই প্রত্যাবাসন নির্বিঘ্ন হতে পারে।

এর আগে দুই পর্বে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রথম পর্বের ব্রিফিংয়ে ছিলেন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মান, ইতালি, তুরস্ক, রাশিয়া,  সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং জাতিসংঘ, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ফাও), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও রেডক্রসের প্রতিনিধিরা।  

শেষ পর্বের ব্রিফিংয়ে ছিলেন ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মিশর, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, মরক্কো, ওমান, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরা।

এরপর ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে নির্বিঘ্ন। তারা যেন স্বদেশে স্বেচ্ছায় এবং সম্মানের সঙ্গে যেতে পারেন। তাদের মিয়ানমারে পাঠানোর আগে রাখাইন রাজ্যে জনগোষ্ঠীটির নিরাপত্তা নিশ্চিতের পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই কূটনীতিকরা জানান, উপযুক্ত সময়ে তাদের ব্রিফ করা হয়েছে। এসময় রোহিঙ্গা ফেরাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথাও বলেন তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
কেজেড/এইচএ/

** রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফেরার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।