ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে অনিয়ম তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে অনিয়ম তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ

ঢাকা: বাংলাদেশের উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় সাইক্লোন ও ফ্লাড শেল্টার নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজে অনিয়মের অভিযোগ আসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে। সেই অনিয়ম খতিয়ে দেখতে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সাব কমিটি তদন্তে গেলেও অভিযোগ উঠেছে যে কাজের মান নিয়ে সেখানে না গিয়েই ফিরে আসে তারা। বিষয়টি নিয়ে কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির একাধিক সদস্য।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ ভবনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সদস্যরা। পরে এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে সাইক্লোনপ্রবণ এলাকাগুলো অগ্রাধিকার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।


 
কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন, কমিটির সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, বেগম মমতাজ বেগম ও এসএম জগলুল হায়দার। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
কমিটি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও নাটোরের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল সাইক্লোন ও ফ্লাড শেল্টার নির্মাণ প্রকল্পের কাজের মানের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে শিমুল অভিযোগ করে বলেন, এ প্রকল্পের কাজ নিয়ে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, মন্ত্রণালয় সেগুলো ঠিকমতো তদন্ত করছে না। এ সময় বদি জানান, তার এলাকার সাইক্লোন ও ফ্লাড শেল্টার নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অনিয়ম তদন্তকারীরা কক্সবাজার না গিয়ে চট্টগ্রাম থেকেই ঢাকা ফিরে গেছেন।
 
কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভুসহ অন্য সদস্যরাও এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী না থাকলেও মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
 
মন্ত্রণালয় জানায়, সাইক্লোন ও ফ্লাড শেল্টার নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের আওতায় নির্মিত ১০০ আশ্রয়কেন্দ্রের কোনোটিতে এখনো সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়নি।  সংযোগ সড়কও নেই ৮০টি আশ্রয় কেন্দ্রের।
 
এর আগের বৈঠকে সচিব বলেছিলেন, সাইক্লোন ও ফ্লাড শেল্টার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ তিনি নিজেই তদারকি করবেন। প্রকল্প পরিচালকসহ অন্যদের কোনো অবহেলা থাকলে তাও তদন্ত করে দেখা হবে।
 
মন্ত্রণালয়কে কমিটি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে দ্রুত তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে। একইসঙ্গে তদারকি বৃদ্ধিরও তাগাদা দেওয়া হয়।  কমিটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন অফিসের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবল নিয়োগের জটিলতা নিরসনের পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া সোলার সিস্টেম কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
 
কমিটির নভেম্বরের বৈঠকে পাহাড় ধসের কারণ অনুসন্ধান ও সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য তালুকদার আব্দুল খালেককে আহ্বায়ক করে গঠিত সাব-কমিটিকে আরও তিনজন সদস্যকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন শফিকুল ইসলাম শিমুল, সৈয়দ আবু হোসেন এবং বেগম হেপী বড়াল।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।