ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাস্টমস-ভ্যাটে দুর্নীতির যে ১৯ উৎস চিহ্নিত করলো দুদক

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
কাস্টমস-ভ্যাটে দুর্নীতির যে ১৯ উৎস চিহ্নিত করলো দুদক

ঢাকা: আয়কর বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ ও তা দূরীকরণের সুপারিশের পর এবার কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট বিভাগের দুর্নীতির সম্ভাব্য ১৯টি উৎস চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ দুর্নীতি প্রতিরোধে ২৬ দফা সুপারিশ সম্বলিত একটি প্রতিবেদনও মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবরে পাঠিয়েছে কমিশন।

১৯টি উৎস চিহ্নিতকারী টিমের নেতৃত্বে ছিলেন দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে এ প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন দুদকের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্বে) সারোয়ার মাহমুদ।

এর আগে আয়কর বিভাগে দুর্নীতির ১৩টি উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে ২৩ দফা সুপারিশ করছিল দুদক।

যে ১৯ উৎস চিহ্নিত
১. পণ্য আমদানিতে পণ্যমূল্য অবমূল্যায়ন, অতিমূল্যায়ন, পণ্যের বিবরণ, এইচ.এস কোড, ওজন পরিমাণ, গুণগতমান ইত্যাদি বিষয়ে মিথ্যা ঘোষণা, প্রতারণা এবং একই প্রকার পণ্যের একাধিক চালান প্রস্তুতকরণ ইত্যাদি কাস্টমস হাউজগুলোর ব্যাপক প্রচলিত অনিয়ম। উচ্চকর আরোপযোগ্য পণ্যসমূহের ইনভয়েসে প্রকৃত পরিমাণ/ওজনের চেয়ে কম এবং নিম্নহারে কর আরোপযোগ্য পণ্যের ইনভয়েসে প্রকৃত পরিমাণ/ওজনের চেয়ে বেশি দেখানো হয়। এ ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে আমদানিকারকের ঘোষণা অনুসারে শুল্কায়নপূর্বক উক্ত পণ্যাদি খালাস করা হয়।  

২. রেয়াত সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন বা এস.আর.ও এর শর্ত অমান্য এবং আমদানি-নীতি, পরিবেশ নীতি, অন্যান্য বিধি-বিধান ও নীতিমালার শর্ত/ নির্দেশনা ভঙ্গ করে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দুর্নীতি করা হয়ে থাকে।

৩. কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ এর বিধান অনুসারে আমদানিকৃত পণ্য এবং খালাসকৃত পণ্যের চালানসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রায়শ সমন্বয় (Reconciliation) করা হয় না। আমদানিকৃত মালামাল নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে খালাস না হলে উক্ত মালামাল নিলামের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে, এরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে যথাসময়ে এ ধরনের নিলাম অনুষ্ঠিত হয় না।

৪. কাস্টমস এর জন্য বিশ্বব্যাপী অটোম্যাটেড সিস্টেম ফর কাস্টমস ডাটা (আসিকুডা) পদ্ধতি চালু থাকলেও বাংলাদেশে কাস্টমস বিভাগ সার্বিকভাবে এখনো এটি চালু করতে পারেনি। এ প্রেক্ষিতে কাস্টমস বিভাগের কার্যক্রম ও প্রক্রিয়াগুলো এখনো অস্বচ্ছ এবং সনাতন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে, যা দুর্নীতির প্রবণতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।  

৫. প্রফর্মা ইনভয়েস, বিল অব লেডিং, ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট এসব গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি আমদানিকারক বা এজেন্সিগুলো কর্তৃক প্রায়শ যথানিয়মে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হয় না। বিশেষত প্রফর্মা ইনভয়েসে আমদানি পণ্যের নাম, বর্ণনা, একক/পরিমাণ, গুণগতমান, মূল্য ইত্যাদি যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় না। এ ধরনের বিচ্যুতি দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হয়।

৬. কাস্টমস হাউজের বহুবিধ বন্ডসমূহের (শতভাগ রপ্তানি বন্ড/ চামড়া খাতের বন্ড/ আমদানি বিকল্প বন্ড/ কূটনৈতিক বন্ডশিপ/স্টোরস বন্ড ইত্যাদি) ব্যবস্থাপনা মানসম্মত নয়। এতে বিভিন্ন অনিয়ম,ভোগান্তি, কর ফাঁকি, দুর্নীতি ইত্যাদির ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়।  

৭. সমজাতীয় বা প্রতিদ্বন্দ্বী পণ্যের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক ট্যারিফ কাঠামোর কারণে কাস্টমস সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ, বিরোধ বা মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে এবং দুর্নীতি বাড়ছে।

৮. প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্যের অপ্রতুলতা (অপর্যাপ্ত ওজন নির্ধারক/ স্ক্যানিং মেশিন, সিসি ক্যামেরা, ফর্ক লিফ্ট, সমন্বিত স্বয়ংক্রিয়তা বা অটোম্যাশন), কাস্টমস এর অন্তঃ ও আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক (ভ্যাট এবং আয়কর বিভাগ, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে) সমন্বয়ের অভাব, শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার অপর্যাপ্ত ও অদক্ষ তৎপরতা, গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অভাব এবং পণ্য খালাসের নিরীক্ষা সম্পাদনে অনীহা প্রভৃতি দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে।

৯. অস্থায়ী আমদানি বিধির আওতায় বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত গাড়ি, লজিস্টিকস ও অন্যান্য পণ্যাদি, বিলম্বিত শুল্ক ব্যবস্থার আওতায় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আমদানিকৃত অনুরূপ মালামাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব এবং এরূপ প্রক্রিয়ায় আমদানিকৃত কোনো কোনো মালামাল পুনঃরপ্তানির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকে।

১০. ভ্যাট আইন ও বিধিমালায় অসঙ্গতি যথা: বিবিধ রেয়াত, মূল্য এবং ট্যারিফের নিম্ন ভিত্তি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিদ্যমান ভ্যাট সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কাঠামো এখনো সনাতন পদ্ধতির। এ ধরনের পদ্ধতি উত্তম চর্চা ভিত্তিক ভ্যাট ব্যবস্থাপনার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। অনেক সময় রেয়াত গ্রহণের বিপরীতে সঠিক দলিলাদি থাকে না।

১১. পণ্যের শুল্কায়ন চূড়ান্তভাবে সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট আইনে সাময়িকভাবে শুল্কায়নপূর্বক পণ্য ছাড় দেওয়ার বিধান রয়েছে। ফলে শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো কোনো ক্ষেত্রে পণ্য চালান সাময়িকভাবে শুল্কায়ণপূর্বক ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে অনেক ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত শুল্কায়ণ সম্পন্ন করা হয় না। এভাবে দেশের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।

১২. কাস্টমস হাউজগুলোতে ওজন পরিমাপক যন্ত্র, স্ক্যানিং মেশিন, সিসি ক্যামেরা প্রতিনিয়তই অকেজো থাকে অথবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে অকেজো করে রাখা হয় মর্মে অভিযোগ আসে। এই সুযোগে অনেক উচ্চ শুল্কহারের পণ্য কিংবা ক্ষেত্রে বিশেষে আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্যাদি খালাস করে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকিসহ আন্তর্জাতিকভাবে দেশের সুনাম বিনষ্ট হয় এবং দুর্নীতি সংঘটিত হয়।

১৩. সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সঠিকভাবে মনিটরিং না করার ফলে দুর্নীতিবাজ শুল্ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে উঠে। ফলে দেশের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি সুবিধাভোগী দুর্নীতির চক্র তৈরি হয়।

১৪. বন্ড কমিশনারেটের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়মিত অডিট সম্পন্ন করা হয় না; বিশেষ করে ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (UD) আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পন্ন হয়ে থাকে, যা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে অডিট করে না।

১৫. বন্ড লাইসেন্স প্রদানে এবং নবায়নে দুর্নীতি ঘটে। স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রাপ্যতা বাড়িয়ে/মূল্য কমিয়ে ডিপ্লোম্যাটিক বন্ডেড ওয়্যারহাউজগুলো শুল্কমুক্ত মদ এবং অন্যান্য পণ্যাদি আমদানিপূর্বক তা ভুয়া প্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে বিতরণ দেখিয়ে খোলাবাজারে বিক্রয়পূর্বক দেশের রাজস্ব ক্ষতি সাধন করা হয়। একইভাবে, প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রকৃত প্রাপ্যতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি প্রাপ্যতা দেখানো হয় এবং বেশি প্রাপ্যতাকে ধরেই লাইসেন্সে নবায়ন করানো হয়।

১৬. আমদানি রপ্তানিতে ‘আসিকুডা ওয়ার্ল্ড’র অংশটুকু ব্যতিরেকে বন্ড ওয়্যারহাউস কার্যক্রমের ব্যস্থাপনা সম্পূর্ণ ম্যানুয়ালি সম্পাদিত হয়। নতুন লাইসেন্স ছাড়া আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম সমন্বয় (Reconciliation) কিংবা অডিট প্রক্রিয়াটি অত্যাধিক কাগুজে দলিলনির্ভর, যার অনেক তথ্য যাচাই বাছাই করার অবকাশ থাকে। ফলে, এ পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন অডিট সম্পদান করা প্রায় অসম্ভব। যার সুযোগ বন্ড প্রতিষ্ঠান এবং অসাধু কর্মকর্তারা গ্রহণ করে থাকে।  

১৭. বর্তমান মূসক ব্যবস্থায় আদর্শ হারে ১৫% হারে মূসক, ট্যারিফ মূল্য ও সংকুচিত মূল্যে মূসক পরিশোধের বিধান রয়েছে। ট্যারিফ মূল্য ও সংকুচিত ভিত্তি মূল্যে পণ্য/সেবা প্রদানকারীর রেয়াত গ্রহণ করতে না পারায় তারা কাঁচামালের উপর ভ্যাট পরিশোধ হয়েছে কি-না তা যাচাই করে না। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে কাঁচামাল ক্রয় রেজিস্টারে এন্ট্রি না করে মূসক ফাঁকি দিয়ে থাকে।  

১৮. উৎসে ভ্যাট কর্তনের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আয়ের ফলে ভ্যাটে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যাপ্ত শ্রম প্রদানের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে তাদের লক্ষ্যমাত্রা উৎসে ভ্যাট কর্তনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হওয়ায় তারা ভ্যাটের পরিধি বাড়িয়ে নতুন ক্ষেত্র উম্মোচন না করে দুর্নীতির দিকে ঝুঁকে যায়। এছাড়া, ভ্যাট কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবৈধ যোগসাজশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চালান (মূসক-১১) জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহককে প্রতারিত করার মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়।

১৯. শুল্ক ও ভ্যাট অনুবিভাগের শুল্ক ও ভ্যাট আদায় সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকা এবং নিয়োগ বদলী ও পদোন্নতিতে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন (criteria) এর অভাবে এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি উৎসাহিত হয়।

সুপারিশ
এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় এ দুর্নীতি দমন সংস্থার পক্ষ থেকে ২৬ দফা সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়, রাজস্ব গুরুত্ব সম্পন্ন এবং উচ্চ ট্যারিফ হারযুক্ত বাণিজ্যিক পণ্য যাদের ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণার প্রবণতা রয়েছে এমন পণ্যসমূহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস অনুবিভাগের সদস্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ও অংশীজনদের সহযোগিতায় যথাশীঘ্র সম্ভবচিহ্নিতকরণপূর্বক যথাযথ ঘোষণার তথ্য/ বিবরণ নির্ধারণ করা যেতে পারে। ইনভয়েস ও প্যাকিং লিস্ট প্রস্তুত এবং বিল অব এন্ট্রি প্রণয়নের সময় যথাযথ ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করা যেতে পারে।
 
আমদানি/রপ্তানিতে যথাযথ ঘোষণাভুক্ত উপাত্তগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অনলাইন সিস্টেম এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে রাখতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় মিথ্যা ঘোষণাকেন্দ্রিক দুর্নীতি হ্রাস পাবে বলেও উল্লেখ করা হয় সুপারিশে।

এছাড়া, ঘোষিত পণ্যের পরিমাণ/মূল্য এবং বাস্তব পরিমাণ/ মূল্যের মধ্যে গরমিল পাওয়া গেলে দায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা, সময়ক্ষেপণ বন্ধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সকল দপ্তরে একই নীতি অনুসরণ নিশ্চিতকরণ, রাজস্ব কর্মকর্তাদের বদলি-পদোন্নতি ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন, দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ই-নথি ব্যবহার নিশ্চিকরণ, প্রতি কাস্টমস হাউসে দুর্নীতি দমন বিভাগ শক্তিশালীকরণ, কাস্টমস সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ, বিরোধ বা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর অডিট তদারকি, সকল ক্ষেত্রে আদর্শ হারে মূসক প্রযোজ্য করা এবং রেয়াত গ্রহণের সুযোগ রাখার সুপারিশও করা হয় দুদকের প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
আরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।