ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সাংবাদিকদের অবাধ চলাচলের সুযোগ দিন, ইসিকে আ’লীগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
সাংবাদিকদের অবাধ চলাচলের সুযোগ দিন, ইসিকে আ’লীগ কথা বলছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধি দল-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: নির্বাচনের দিন যাতে সাংবাদিকরা বিনা বাধায় চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে  (ইসি) অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে এমন অনুরোধ জানান।  

পরে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের নেতা মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা নির্বাচনের দিন যাতে সাংবাদিকরা বিনা বাধায় চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করতে ইসিকে অনুরোধ করেছি।

তারা বিষয়টি দেখা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

তিনি বলেন, কালো টাকার ব্যবহার সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন সামনে রেখে কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও মহাজোট নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলাও করছে। আমাদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে, মিছিলে হামলা চালাচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতা করে উল্টো ইসিতে এসে প্রতিদিন তারা অভিযোগও করছে। অথচ সত্য হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত জোট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিষয়গুলো আমরা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছি।

কালো টাকা ছড়ানো ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের উপর হামলা করার বিষয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা-৮ আসনের মির্জা আব্বাসের দুই কর্মী কালো টাকা ছড়াতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। আমরা এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।  

তিনি বলেন, সকালেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ মোমেনের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে সশস্ত্র ক্যাডাররা। সীতাকুন্ডে পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের চারজন কর্মী এখন হাসপাতালে।

এছাড়া চাঁদপুরে ডা. দীপু মনির বাড়িতেও বিএনপি হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩০ জন। ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে আমরা এসব ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ দাবি করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আর পাঁচদিন বাকি। এখন পেট্রোল বোমা, গান পাউডার, আগুন সন্ত্রাস শুরু হওয়ায় আমাদের ২০১৪ সালের কথা মনে পড়ছে। ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি জোট নেতারা একবার বলছেন, ভোট করবো, মাঠ ছেড়ে যাবো না। একবার কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন, আবার অসহযোগিতার প্রশ্ন তুলছেন। তারা আসলে বিচলিত, অস্থির। নির্বাচনকে বানচাল করার, ক্ষতিগ্রস্ত করতে তারা অস্থিরতায় ভুগছে বলে তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হচ্ছে।

ফোন নম্বর ক্লোনিং করে একটি চক্র বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে এমন আকাঙ্খা জানিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ফোনকলের জালিয়াতি করে নম্বর ক্লোন করে, ভুল তথ্য যেন না যায় এ বিষয়েও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। যাতে করে কোনো নির্দেশনা যদি আসে, নম্বর সঠিক কিনা, ক্লোন করা হয়েছে কিনা তা যেন তারা নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থা নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
ইইউডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।