ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

ময়মনসিংহ: কথা কাটাকাটির জেরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় পরীক্ষা দিতে যাওয়া পথে জাহিদুল ইসলাম লিমন নামে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফুলবাড়ীয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মান্নান।  

তিনি জানান, এ ঘটনায় গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) আহত ওই শিক্ষার্থীর বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আহত লিমন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

মামলায় ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই গ্রামের কান্দাপাড়া এলাকার মফিজুল ইসলাম (৫৫) ও তার দুই ছেলে ফরহাদ (২০), ফারুক (২৫), মেয়ে সেলিনা আক্তার এবং মফিজুলের চাচাতো ভাই শামসুল হককে আসামি করা হয়েছে।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার কয়েকদিন আগে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আন্ধারিয়া পাড়া বাজারে ফরহাদ ও ফারুকের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে গত ২৭ মে সকাল ৯টার দিকে বার্ষিক পরীক্ষা দিতে কান্দাপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে লিমনকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে আসামিরা।  

এতে তার বাঁ হাতে দা এর কোপ লাগে। এছাড়া রডের আঘাতে বাঁ হাত ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা লিমনকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। লিমন সেখানেই এখনও চিকিৎসাধীন। গত ৩০ নভেম্বর অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।  

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলবাড়ীয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আসামিদের ধরতে অভিযানে গিয়েছিলাম। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি।  

স্থানীয় সূত্র জানায়, বখাটেরা ওই মাদ্রাসায় বাইরের এলাকা থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ তুলে প্রায়ই মারধর করে। অন্য গ্রাম থেকে আসা ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করে। এসব বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। এ সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠছে বখাটেরা।  

ফুলবাড়ীয়া সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ওয়াজ উদ্দিন বলেন, সরকার যেখানে শিক্ষকদের বেতন দেয়, তখন সেই প্রতিষ্ঠানে কেন আমাদের ছেলেমেয়েরা যেতে পারবে না। কেন তাদের সবসময় এভাবে হয়রানি করা হবে? আমরা মাদ্রাসা সুপার ও পরিচালনা কমিটিকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।  
 
অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, বখাটেদের উৎপাতে অনেক শিক্ষার্থী অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে এটা ঠিক। আমি বিষয়টি মাদ্রাসা কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছি।  

তবে এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে  জানানো হচ্ছে না কেন?-এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।