ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২৫০ টাকা পেঁয়াজ, মন্ত্রী বললেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
২৫০ টাকা পেঁয়াজ, মন্ত্রী বললেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আছে

ঢাকা: পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনার কেনার ক্ষমতাটা তো আছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
 
দীর্ঘদিন ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কতটা কঠোর বা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা আছে কিনা- প্রশ্নে কাদের বলেন, দেখুন বাংলাদেশে কি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খুব দুর্বল, কেউ কি খুব অভাবে আছে, না খেয়ে মারা যাচ্ছে বা কোনো একটা বাজারে হয়তো ঘাটতি, সেজন্য কি এমন কোনো দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আছে?
 
তাই বলে কি আড়াইশ টাকা পেঁয়াজের কেজি হবে- প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনার কেনার ক্ষমতাটা তো আছে।


 
এসময় সাংবাদিকেরা বলেন, সবার আছে, কার আছে? আমাদের নেই। ২৫ টাকার কেজি আড়াইশ টাকা হতে পারে না।
 
তখন কাদের বলেন, এটা হতে পারে না। এটা অস্বাভাবিক। একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এ অবস্থা স্বাভাবিক হতে হয়তো কিছু সময় লাগবে, এটা ঠিক হয়ে যাবে। কিছু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়েছে সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই। যেটুকু কন্ট্রোলে নেই সেটুকু কন্ট্রোলে আনার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

বাণিজ্য, রেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বা অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন- এজন্য তাদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে যে খবর এসেছে তা নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য কাদের বলেন, একজন মন্ত্রীর কর্মকাণ্ড, পারফরম্যান্স মন্ত্রিসভার দায়িত্ব নয়, এটাকে মূল্যায়ন করা বা মন্ত্রীকে রাখা বা বাদ দেওয়ার। এটা নিকঙ্কুশভাবে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। মন্ত্রীর পারফরম্যান্স যদি খারাপ হয় এবং তাকে তিনি রাখবেন কি রাখবেন না, এটা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে পারেন। এটা আমার পক্ষে মন্তব্য করা সমীচীন নয়, আমি তো একজন মন্ত্রী। আমি কীভাবে আরেকজন মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই বা সরিয়ে ফেলা উচিত- এমন মন্তব্য করবো?
 
অপর এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, চাল ও লবণ নিয়ে যে ইস্যুটা সৃষ্টি করা হয়েছিল সেটাতো আর এখন নেই। পেঁয়াজটা এখনও রয়ে গেছে। তবে মৌসুমও এসে যাচ্ছে, আমাদানিও যথেষ্ট। মার্কেট কন্ট্রোল করা দরকার। এখানে অসাধু ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন, তারাও কারসাজি করে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং কারসাজিটা যাতে বন্ধ হয় সে ব্যাপারে সরকারও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
 
‘আসলে ইউ হ্যাভ টু ব্লো হট অ্যান্ড কোল্ড। একেবারে হট ওয়েতে তো আর চলা যাবে না, আলাপ-আলোচনাও করতে হবে, আবার যেটা অপরাধ তার বিরুদ্ধে তো কঠোর হতে হবে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে সেটার মোকাবিলা তো কঠোর হবেই। ’
 
টিসিবির প্রতিবেদনে ১৮টি পণ্যের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাঝে মধ্যে এমন অবস্থা হয়। কতগুলো কারণ আছে, কিছু গুজব ছড়িয়ে সংকট সৃষ্টি কর হয়; আমাদের দেশে এটি চলে। তাছাড়া মাঝে মধ্যে পরিবহন ধর্মঘট, এসব কারণেও সাপ্লাই লাইনটা দুর্বল হয়ে যায়।  
 
‘আমার মনে হয় শীত এসে গেছে, বিভিন্ন শাক-সবজির বাজারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।