ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগামীর জন্য সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে হবে: অর্থমন্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
আগামীর জন্য সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে হবে: অর্থমন্ত্রী  সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এক দশক বাকি আছে। আমরা আমাদের যুবসমাজ, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে পেয়ে ছিলাম বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী। এখন সারাবিশ্বের মানুষের দায়িত্ব আগামীর জন্য সুন্দর, স্বপ্নময় একটি পৃথিবী রেখে যাওয়া।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে তিন দিনব্যাপী বুসান ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফোরাম-২০১৯ ও কার্যকর উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক ১৮তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, স্বপ্নময় পৃথিবীর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যেসব দেশভিত্তিক সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান ও প্রত্যেক দেশের নাগরিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠন করতে হবে। এজন্য সব প্রকার সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ভৌত ও অভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে হবে। মানুষের মধ্যে আশা ও বিশ্বাস জাগ্রত করতে হবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য খাত ভিত্তিক চাহিদা অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
 
তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশের নিজস্ব যে সম্পদ রয়েছে তা থেকে সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করা উচিৎ নয়। বাংলাদেশের সম্পদ হলো বিপুল কর্মঠ জনগোষ্ঠী। এ জনশক্তি দেশে-বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না। নজর দিতে হবে কোন দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অস্বাভাবিক সমস্যা সমাধানের দিকেও। যেমন বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মিয়ানমার থেকে আগত এক মিলিয়নের মতো যে রোহিঙ্গা আছে তাদের সমস্যার আশু সমাধান করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক, জর্দান ও ফিলিস্তিনের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের উৎপাদিত পণ্য চলাচলে অহেতুক বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। পরিবেশের বিপর্যয়ের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে সব প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বেশি পরিমাণে কার্বন নিঃসরণকারী দেশেগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মানব সৃষ্ট বাণিজ্য বাধা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো সমস্যা মানুষই পারবে সমাধান করতে। এসব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রত্যেক দেশ তথা বিশ্ব লাভবান হবে। আগামীর জন্য আরও সুন্দর নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করতে পারবো।

সুন্দর ও নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করণের লক্ষ্য অর্জনে অর্থমন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।