ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘গণতন্ত্রের সংগ্রামে ‘মওলানা ভাসানী’ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৯
‘গণতন্ত্রের সংগ্রামে ‘মওলানা ভাসানী’ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন’ বক্তব্য রাখছেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: গণতন্ত্রের সংগ্রামে ‘মওলানা ভাসানী’ ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন বলেন মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ‘মওলানা ভাসানী ও আমাদের সময়ের রাজনীতি’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় রাজশাহীর মুনলাইট কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে গণসংহতি সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এই মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীই প্রথম ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে পাকিস্তানকে আসসালামু আলাইকুম জানিয়ে দেন।

পূর্ব বাংলার মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা সেই প্রথম রাজনৈতিক ভাষা পেয়েছিল শুধু তাই নয়, দীর্ঘ এক দশকের লড়াইয়ে আইউব শাহীর বিরুদ্ধে শেষ পদাঘাত ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের অবিসংবাদিত নেতা তিনিই। স্বাধীনতা পরবর্তীতে সংবিধান প্রণয়নে নতুন জনপ্রতিনিধিত্বের দাবি তোলেন মওলানা ভাসানী। রাজনৈতিক জুলুম-নিপীড়ন ও লুটপাটের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষাবস্থার অনুমাণ করে দুর্ভিক্ষের প্রতিরোধ ও জনগণের জীবন বাঁচাতে আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনিই। জীবনের শেষ সময়েও মওলানা ভাসানী দেশের মানুষ ও নদী বাঁচাতে ফারাক্কা লং মার্চে নেতৃত্ব দেন।

নদীতে বাঁধ দেওয়ার নীতির বিরুদ্ধে রাজনীতিকদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম অবস্থান নেন। তিনিই দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘পিণ্ডির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করতে নয়’।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, যতই দিন যাচ্ছে মওলানা ভাসানী সার্বভৌমত্ব ও মানুষের মুক্তির রাজনীতির দিশা নিয়ে ততই আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন।

আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলন রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক ড. আমিরুল ইসলাম।

সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলন রাজশাহী জেলা সম্পাদক জুয়েল রানা।   

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।