ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষকদের শাস্তির ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে সরকার: খালিদ মাহমুদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
ধর্ষকদের শাস্তির ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে সরকার: খালিদ মাহমুদ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল

ঢাকা: ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে জিরো টলারেন্সে সরকার বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবালের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।


 
দেশজুড়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে যখন আইনের শাসনকে পদদলিত করা হয় তখন এ ধরনের বিষয়গুলো প্রশ্রয় পায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, দালাল আইনে যাদের বিচার হচ্ছিল, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দালাল আইন প্রত্যাহার করা হয়।

তিনি বলেন, এ ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ধর্ষণকারীদের বিচার করা হয়নি। বিচারহীনতার কারণে বাংলাদেশে এ ধরনের একটি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি। যারা এ ধরনের অপরাধ করেছিল তারা মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছে। তারা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক হওয়ার চেষ্টা করেছে।

আজকে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ধর্ষক, অপরাধী ও খুনিদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন গত তিন মেয়াদের সরকার অপরাধীদের ছাড় দেয়নি। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ থেকে শুরু করে যারা ধর্ষণ ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত আমরা কোনো কিছুই লুকাইনি, তাদের জনসম্মুখে এনেছি, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে সরকার।

খালিদ মাহমুদ বলেন, আইনমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন- এ আইন আরও শক্ত করা হচ্ছে। আগামী মন্ত্রিসভায় তিনি উপস্থাপন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সরকারের অত্যন্ত দৃঢ় ভূমিকা আছে যেকোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা। বিচার করার মধ্য দিয়ে যখন একটা সংস্কৃতি পুরোপুরি গড়ে উঠবে তখন অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ করতে পিছিয়ে যাবে। তখন এ বিষয়গুলো আমাদের জন্য আরও স্বস্তিদায়ক হবে।

নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি নতুন নৌপ্রধান হয়েছেন। নৌবাহিনীর অনেক সদস্য আমাদের এ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করতেছেন। তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। এ বিষয়গুলো নিয়েই আমাদের কথা হয়েছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা মেরিটাইম সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট নেই। সেক্ষেত্রে তিনি খোলামেলাভাবে বলেছেন এ সেক্টরের উন্নয়নের জন্য নৌবাহিনীর পক্ষ যেকোনো ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সেই সহযোগিতার ব্যাপারে তারা সচেষ্ট থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।