ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্গাপূজার আগেই শরণংকর ভিক্ষুর গ্রেফতার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
দুর্গাপূজার আগেই শরণংকর ভিক্ষুর গ্রেফতার দাবি

ঢাকা: আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ফলাহারিয়া গ্রামে সনাতন সম্প্রদায়ের প্রাচীন শ্মশান দখলকারী বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষু শরণংকর থেরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ঐক্য পরিষদ নেতারা।

রোববার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি ওঠে।

নেতারা বলেন, ভণ্ড, প্রতারক, মিথ্যাবাদী শরণংকর থের রাঙ্গুনিয়ার ফলাহারিয়া গ্রামে সনাতন সম্প্রদায়ের প্রাচীন শ্মশান দখল করে সেখানে কাউকে সৎকার করতে দিচ্ছে না। বৌদ্ধধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বনবিভাগের একশ একর জায়গা দখল করে নিয়েছে। স্থাপনা নির্মাণের নামে হাজার হাজার গাছ উপড়ে ফেলে বনবিভাগ ধ্বংস করেছে। এসব অপকর্ম প্রকাশের পর এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন রাঙ্গুনিয়ার শত বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নতুন খেলায় মেতেছেন শরণংকর।  

অন্য ধর্ম ও বিশিষ্টজনদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উসকানিমূলক ভিডিওবার্তা ও বক্তব্য দিচ্ছে। এতে পুরো রাঙ্গুনিয়া এখন থমথমে। সামনে দুর্গাপূজা। যে কোনো মুহূর্তে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে শান্তির জনপদ রাঙ্গুনিয়া। ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘাত, সংঘর্ষ। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই শরণংকর থেরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

রাঙ্গুনিয়া কদমতলী মন্দিরের পুরোহিত মুক্তিযোদ্ধা রূপম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল।

মানববন্ধনোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সৈয়দবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত সুজন চক্রবর্তী, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রনেতা তড়িত কান্তি দে, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের নেতা পঙ্কজ চৌধুরী, নির্মল দাশ, সুপায়ন চৌধুরী, শৈবাল চক্রবর্তী, লিপি চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তৃতার শুরুতে শরণংকর ভিক্ষু শ্মশান দখল করে সেখানে মরদেহ সৎকার ও দাহ করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন মনোরঞ্জন ঘোষাল।

তিনি সরকারকে শরণংকর ভিক্ষুর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তা না হলে মুক্তিযোদ্ধারাই শরণংকরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান।  

মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যেমন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একেকটা অরণ্য খুঁজে নিয়েছিল, তেমনি আমরা মুক্তিযোদ্ধারা শরণংকর ভিক্ষুকে খুঁজে নেবো। তার বিষদাঁত ভাঙতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।