ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: আলামত সংগ্রহ করল পিবিআই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: আলামত সংগ্রহ করল পিবিআই আলামত সংগ্রহ করেছেন পিবিআই কর্মকর্তারা, ছবি: বাংলানিউজ

নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলা তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর ইন্সপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পিবিআইর একটি দল একলাশপুর ইউনিয়নের ওই গ্রামে নির্যাতনের শিকার নারীর বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে।

এর আগে, শুক্রবার সকালে পিবিআই নোয়াখালীর ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে একটি দল ওই নারীকে নিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শনে যান। এ সময় মামলার তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা ছাড়াও পিবিআই চট্টগ্রামের তদন্ত বিশেষজ্ঞ ফারুক আহমেদ এবং মামলা দু’টির সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাড়িটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলা দু’টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পিবিআই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করে ইন্সপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে। এছাড়া পর্নগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানকে।

ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং সে দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। এরপর ওই নারী ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কিছুদিন বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখেন তারা। একপর্যায়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ওই পরিবার। ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার (৪ অক্টোবর) সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এরপর বিষয়টি নজরে এলে রোববার রাতেই নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই রাতেই ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলার এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত মূল হোতা দেলোয়ারসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জন রয়েছেন। পুলিশি তদন্তে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসায় দেলোয়ারসহ বাকি পাঁচজনকে এ দুই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।