ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শেষ মুহূর্তের প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত পাবনার কারিগররা

মুস্তাফিজুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
শেষ মুহূর্তের প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত পাবনার কারিগররা

পাবনা: কাশ ফুল ফোটা শরতের প্রথম দিন থেকেই সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি শুরু হয় মন্দিরগুলোতে। দুর্গোৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে দেবী দুর্গার প্রতিমা।

আর তাই দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া উইনিয়নের বেলগাছি গ্রামের পালপাড়ায় অবস্থিত একমাত্র প্রতিমা তৈরির কারখানার মৃৎশিল্পীরা।

পাবনা শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে চাটমোহর উপজেলার শেষ প্রান্তে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে এই প্রতিমা তৈরির কারখানাটি গড়ে উঠেছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলসহ সিরাজগঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, নাটোর, চলরবিলসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সনাতন ধর্মালম্বীরা এই স্থান থেকে প্রতিমা তৈরি করেন।

জানা যায়, কয়েকদিন পরেই শুরু হবে দুর্গা পূজা। এই উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজন করে থাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে এবার উৎসবকে বর্জন করে শুধু হবে পূজা অর্চনা এমটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  

প্রতিমা শিল্পী অমল পাল বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে প্রথম দিকে পূজা হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। কাজের অর্ডার পাইনি। মাস খানেক আগে থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ পাই। আস্তে আস্তে এখন শেষ মূহুর্তে প্রায় ৭০টি প্রতিমার তৈরির কাজ পাই। ঠাকুর মুখ তুলে তাকিয়েছেন।  

পাবনা হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রলয় চাকি বাংলানিউজকে বলেন, এবার আমরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও প্রশাসন যৌথভাবে সভা করেছি। করোনা মহামারির জন্য এবার উৎসব বর্জন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু পূজা হবে। সবাইকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

পাবনা জেলা প্রশাসক কবি মাহামুদ বলেন, এবারের পূজা সীমিত আকারে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। জেলার সব হিন্দু নেতারা উৎসব বর্জন করে শুধু পূজা পালনের জন্য বলেছেন। তাদের নিরপত্তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। আর চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বেলগাছিতে যে প্রতিমা তৈরির কারখানা রয়েছে সেটি এই অঞ্চলের শতবছরের ঐতিহ্য ও গর্ব। তাদের রাস্তার সমস্যা রয়েছে। আশা করছি এই সম্যস্যার সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।