ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র ও ভারতীয় পণ্যসহ গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র ও ভারতীয় পণ্যসহ গ্রেফতার ২

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ১০ রাউন্ড গুলি ও ভারত থেকে পাচার করে নিয়ে আসা ৫৯ কেজি সিসা উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (১০ অক্টোবর) রাতে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘড়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে দুইজনকে আসামি করে রোববার (১১ অক্টোবর) বিকেলে দর্শনা থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

আটক পুলিশের ওই এএসআইয়ের নাম হুমায়ন কবির। তিনি চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তার সহযোগী জহিরুল ইসলাম ধন্যঘরা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদে ভিত্তিতে শনিবার রাতে বিজিবির ফুলবাড়ি বিওপির একটি টহল দল ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে টহল দিচ্ছিলো। টহল দলটি দামুড়হুদা উপজেলার ধন্যঘড়া গ্রামের কাঠালতলা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে একটি ইজিবাইক তল্লাশি করে গাড়িতে থাকা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হুমায়ন কবির ও তার সহযোগী জহিরুলকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ম্যাগজিন ভর্তি ১০ রাউন্ড গুলি ও ৫৯ কেজি সিসা জব্দ করে বিজিবি।

রোববার দুপুরে বিজিবির ফুলবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে দুই জনকে অভিযুক্ত করে দর্শনা থানায় একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ বিকেলে কঠোর গোপনীয়তায় গ্রেফতারদের আদালতে সোর্পদ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তবে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমান জানান, গোটা ঘটনাটি একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আটক পুলিশ সদস্য হুমায়নের কাছ থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার দেখানো হয়েছে সেটি সরকারি অস্ত্র বলে তিনি দাবি করেন। একই সঙ্গে মামলায় বিজিবির পক্ষ থেকে অস্ত্রের অভিযোগ আনা হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে পুলিশের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পুলিশ ইমেজ নষ্টের কারণে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলা দিয়ে ইতোমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।