ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ: পরিবেশমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ: পরিবেশমন্ত্রী কথা বলছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বন, বনভূমি ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

এর অংশ হিসেবে সরকার বাংলাদেশে বিলুপ্তির সম্মুখীন উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট প্রস্ততকরণ এবং আগ্রাসী বিদেশি গাছের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশজ উদ্ভিদ প্রজাতি তথা বনজসম্পদ রক্ষার কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উদ্ভাবনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে আমাদের এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) বন অধিদপ্তরে ‘বাংলাদেশের উদ্ভিদ প্রজাতির জাতীয় রেডলিস্ট প্রণয়ন এবং নির্বাচিত সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ ব্যবস্থাপনার উদ্ভাবন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার ২য় পর্বে ‘বাংলাদেশের উদ্ভিদ প্রজাতির জাতীয় রেডলিস্ট প্রণয়ন’ এবং ‘ বিদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র প্রণয়ন’ শীর্ষক দুইটি কর্ম অধিবেশনে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা অংশ নেন।

বনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম ও আইইউসিএন বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে এক হাজার উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট প্রণয়ন সম্পূর্ণ হলে আমরা উদ্ভিদ ও বন সংরক্ষণে একটি বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবো।  

তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে প্রায় ৪০টির অধিক জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছি, যা বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বনায়ন সম্প্রসারণে বেসরকারি এবং ব্যক্তি উদ্যোগে রোপণকৃত বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির একটি বড় অংশ দেশীয় উদ্ভিদের অস্তিত্বের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের একটি বড় কাজ হলো বিদেশি প্রজাতির উদ্ভিদ চিহ্নিতকরণ এবং আগ্রাসী উদ্ভিদ সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ৫টি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান প্রণয়ন করা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সুফল প্রকল্পের আওতাধীন কর্মসূচিটির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের বন ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে মর্মে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

এ লক্ষ্যে তিনি সবাইকে সরকারের সঙ্গে বন-বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ রক্ষায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।  

দেশের জনগণ যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত কাজ করার মাধ্যমে পরিবেশগত উন্নয়নে আমাদের দেশ পৃথিবীতে রোল মডেল হিসেবে স্থান করে নেবে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক পরিমল সিংহ, সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. রকিবুল হাসান মুকুল, আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমীন প্রমুখ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।